আগামী বছরের মাঝামাঝিও সকলের জন্য মিলবে না করোনার ভ্যাক্সিন? একই ভয়ঙ্কর কথা শোনালো WHO? অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য September 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ঘটনার শুরু হয়েছিল চীনের উহান প্রদেশে আগের বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। তবে ঘটনা সেখানেই কিন্তু শেষ হয়নি। প্রথমে আমল না দিলেও বর্তমানে সারা বিশ্বই তার প্রভাবে জর্জরিত। নেপথ্যে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া সেই করোনাভাইরাস, যা সম্প্রতি মহামারীতে পরিণত হয়েছে। আর সেই ভাইরাসের কবল থেকে সারা বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। সকলের একটাই লক্ষ্য করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার। কিন্তু সেই তালিকায় উঠে আসে নানা রকমের প্রশ্ন। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলেই দেশের সমস্ত মানুষ পাবে কিনা, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতেই বা কত সময় লাগবে, কেমন তার খরচ পড়বে, সাধারণ মানুষের কাছে সেটাকে সহজলভ্য করে তোলা যাবে কিনা, মানুষের শরীরে এর কোন ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে কিনা এমন হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তবে সম্প্রতি সেই নিয়ে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি হু এর তরফ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টিকাকরণ সম্ভব হবে না। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ বৈঠকে হুয়ের তরফে জানানো হয় যে ২০২১ সালের আগে কোনভাবেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। সম্প্রতি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চললেও সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন আনতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। কারন সেক্ষেত্রে তারা ভ্যাকসিনের গুণগতমান, রোগীর ওপর এর প্রয়োগ, প্রভাব, প্রতিক্রিয়া সমস্তকিছুই খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করে তবেই সাধারণের কাছে পৌঁছে দেবার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তাই এখনি ট্রায়াল শেষ হলেও তা হাতে পাবার কোন আশা নেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার পর এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। সেখানে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ সেন্টার এই অনুমোদন পেয়েছে বলে জানা গেছে। সেই মত এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য গোটা দেশে সবমিলিয়ে ১০টি মেডিকেল ইনস্টিটিউটকে বেছে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলছে ভ্যাকসিন তৈরীর কাজ। আইসিএমআর সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনও প্রয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে সেরাম ইন্সটিটিউটের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়েই আশাবাদী রয়েছে সবাই। তাই WHO এবং GAV এই কো ভ্যাকসিন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। তবে ২০২১ সালেও যদি তা বাজারে আসে, তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে তখনই কি সাধারণ মানুষ সেই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবে? সেই কথার উত্তরে জানা গেছে যে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন যদি সফল ভাবে আসে, তাহলেও তা সর্বপ্রথম দেওয়া হবে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। এছাড়া যে সমস্ত প্রথম সারির যোদ্ধারা করোনা প্রতিকূলতা সামলাতে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে চলেছেন, তাদেরকে দেওয়া হবে সর্বপ্রথম সুযোগ। তবে সেই সঙ্গে বিশ্বকে করোনা মুক্ত করতে দু কোটি ডোজ বাজারে আসবে সে কথাও ঘোষণা করেছেন তারা। আপনার মতামত জানান -