এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত-গড়ে ক্রমশ তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, ব্যাকফুটে ঠেলছে শুধু গোষ্ঠীকোন্দল?

অনুব্রত-গড়ে ক্রমশ তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, ব্যাকফুটে ঠেলছে শুধু গোষ্ঠীকোন্দল?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলায় ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। অনুব্রত গড়ে ক্রমশই নিজেদের সাংগঠনিক জোর বাড়িয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে একটি বিষয় কাঁটার মতন এখনো অস্বস্তি দিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে, আর তা হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা তো ইতিমধ্যেই সবাই জেনে গিয়েছে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও একই রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় চেষ্টাকে কিন্তু পিছনে ঠেলছে তাঁদের গোষ্ঠীকোন্দল। আবারও বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের পরিচয় পাওয়া গেলো মঙ্গলবার বোলপুর থানার সামনে।

বিজেপি নেতা নেত্রীরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এদিন বোলপুর থানায় একটি ডেপুটেশন জমা দিতে আসেন। প্রায় কয়েক শ’ বিজেপি নেতা কর্মীরা এই ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু থানার সামনে এসে স্মারকলিপি জমা দিতে কে ভেতরে যাবেন, তাই নিয়ে লেগে যায় নিজেদের মধ্যে বচসা। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এ প্রসঙ্গে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বোলপুর বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, নানুর এবং বোলপুর থানায় ডেপুটেশন কর্মসূচি সফল হয়েছে। তবে পুলিশ যদি এরপরেও কর্ণপাত না করে, তাহলে আরো বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর শাসক দল অত্যাচার চালাচ্ছে। প্রশাসন জেনেশুনেও কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উল্টে অশান্তির কারণে বিজেপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের। গত 25 নভেম্বর সিউড়িতে ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের জনসভা। কিন্তু সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বোলপুর থানার বাহিরি পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া মোড়ের কাছে বিজেপি কর্মীদের ওপর বোমা গুলি নিয়ে আক্রমণ চালায় তৃণমূল কর্মীরা বলে অভিযোগ। ব্যাপক আকারে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয় এবং তাতে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থক উভয়ই গুরুতর জখম হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সে সময় পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়তে হয়। এ প্রসঙ্গে বোলপুর বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নিরীহ বিজেপি সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু যারা প্রত্যক্ষভাবে এই ঘটনায় জড়িত, সেইসব তৃণমূল কর্মীরা ও নেতারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এখনো। আর তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর একটায় কয়েক’শ বিজেপি কর্মী সমর্থক বোলপুর থানার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বোলপুর থানা থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশংকার কারণে শুধুমাত্র কয়েকজনকেই থানার ভেতরে প্রবেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আর এর পরেই শুরু হয় ঝামেলা থানাতে কারা প্রবেশ করবেন তাই নিয়ে। রাজ্য কমিটির যুব মোর্চার নেত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাসের সঙ্গে বোলপুর নগর মন্ডলের সভাপতির বিকাশ মিত্র ও অন্যান্য নেতৃত্ব থানার সামনে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করেন। জোরদার তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। রাজ্য কমিটির যুব মোর্চার নেত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাসকে ছাড়াই স্মারকলিপি জমা দিতে প্রস্তুত হয় বোলপুর নগর মন্ডল নেতৃত্ব। আর তার জেরেই শুরু হয় ব্যাপক ঝামেলা। তবে কিছুক্ষণ এই ঝামেলা চলার পর অন্যান্য নেতৃত্বদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে জানা গিয়েছে এবং বিজেপি নেত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাসের উপস্থিতিতেই থানায় স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব।

বোলপুর থানার পাশাপাশি বীরভূমের নানুর থানাতেও এদিন স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক শক্তির জেরেই 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের স্বপ্ন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করা। কিন্তু সেই স্বপ্ন অচিরেই ধাক্কা খাবে, যদি গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় এখনই। বীরভূম জেলায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে চাইলে কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন একতা। তাই গেরুয়া শিবিরের একতা যদি নষ্ট হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে, তাহলে তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!