এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুগামীদের দৌলতে ক্রমশ প্রভাব বাড়ছে ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য্যের’! পুজোতেও ঘুম উড়ল তৃণমূলের?

অনুগামীদের দৌলতে ক্রমশ প্রভাব বাড়ছে ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য্যের’! পুজোতেও ঘুম উড়ল তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন তিনি। তবে তৃণমূলের ব্যানারে সেভাবে না থাকলেও বা তার নামের পাশে মন্ত্রী শব্দটি লেখা না দেখতে পেলেও, পুজোতে দুই জেলাজুড়ে দাপটের সঙ্গে বিরাজ করলেন “জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য” শুভেন্দু অধিকারী। ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তার নামের আগে “মুক্তিসূর্য” লিখে দেওয়া হয়েছে ফ্লেক্স। যেখানে নিচে লেখা রয়েছে, “শুভেন্দুদার অনুগাগামী।” যেখানে রেল শহরের আইআইটি উড়ালপুল সহ গোলবাজার ভান্ডারীচকের এলাকা এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির বাড়িতেও এই ধরনের ফ্লেক্স পড়তে দেখা গেছে।

স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। একাংশ বলেছেন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী এবার পৃথকভাবে পথ চলা শুরু করে দিলেন? তাই তার অনুগামীরা তাকে “জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য” বলে শুধুমাত্র তার ছবি দিয়ে ফ্লেক্স টাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন? কেননা তৃণমূলের ফ্লেক্স থাকলে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকা বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি শুধুমাত্র রেখে তাকে জঙ্গলমহলের “মুক্তিসূর্য” বলে কি তার অনুগামীরা বার্তা দিতে চাইলেন যে, শুভেন্দুবাবু এখন নিজের মত করে পথ চলতে শুরু করবেন! আর যদি এমনটা হয়, তাহলে আগামী দিন যে তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিকর হতে চলেছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, ঝাড়গ্রামে সৌমেন আচার্য, সুমন দাস, বিপ্লব রানা, শুভেন্দু ভুই, কবি মাহাতো, সুমিত চন্দের মত শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এই ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। কিন্তু যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকে, সেখানে শুধুমাত্র শুভেন্দুবাবুর ছবি কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সৌমেন আচার্য বলেন, “আমাদের দাদা পরীক্ষিত জননেতা। জঙ্গলবাসীর পরমাত্মীয়। দাদার তরফ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানোটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।” তবে এতে যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব, তা তাদের কথাতেই প্রকাশ পাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “চিলকিগড় কনক দূর্গা মন্দিরে পরিকাঠামো উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর দু কোটি টাকা বরাদ্দের পর কনক অরন্য প্রবেশপথে এমন ফ্লেক্স খুব অস্বস্তিকর। কি যে হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।” অর্থাৎ তৃণমূলের কোনো নেতার ফ্লেক্স শুভেচ্ছাবার্তা হিসেবে টাঙানো হলে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি স্বাভাবিক নিয়মেই থাকে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ছবি টাঙানো হলেও, সেখানে তৃণমূলের আর কারও ছবি না থাকায় এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূলের একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের এই সমস্ত কাজেই কার্যত পরিষ্কার যে, শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে এটা মানতে রাজি নন যে, শুভেন্দুবাবুর অনুমতি ছাড়াই ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। বরঞ্চ একাংশ বলছেন যে, শুভেন্দুবাবুর সবুজ সংকেতের ফলেই তার অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় শুধুমাত্র তার ছবি দিয়ে এই শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করতে শুরু করেছেন। যা শাসকদলের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবমিলিয়ে ফ্লেক্সের মধ্যে দিয়েই শুভেন্দুবাবু এবং তার অনুগামীরা তৃণমূলের সঙ্গে যদি এভাবেই দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন, তাহলে আগামীদিন যে ঘাসফুল শিবিরের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!