বড়সড় সুখবর! আতঙ্ক কাটিয়ে এবার গ্রীনজোন হতে চলেছে কলকাতার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল কলকাতা রাজ্য May 16, 2020 অনেকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা জেলা রেড জোনের তালিকায় পড়ে গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, তত করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের। তবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কলকাতা রেড জোন হলেও কলকাতার পুলিশ এবং পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে গোটা কলকাতা শহরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, রেড জোন, গ্রীন জোন এবং অরেঞ্জ জোন। আর এই তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত কলকাতায় রেড জোনের সংখ্যা 216। অরেঞ্জ জোন 70 এবং গ্রীন জোন বেড়ে হয়েছে 87। যা আশার আলো তৈরি করছে বিভিন্ন মহলে। গ্রীন জোনের সংখ্যা হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন রীতিমত অনেকের মনেই খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে। বস্তুত, কলকাতা পৌরসভা এলাকার 1 নম্বর বরোর বেলগাছিয়া বস্তিতে করোনার প্রকোপ দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছিল। যা নিয়ে চিন্তা ছিল কলকাতা পৌরসভার। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেখানে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত না হওয়ায় আশ্বস্ত হয়েছে প্রশাসন। যার ফলে শনিবার ওই এলাকা গ্রীনজোনে চলে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর যখন সর্বত্র করোনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, ঠিক তখনই যে এলাকায় সবথেকে বেশি করোনা নিয়ে চিন্তা ছিল কলকাতা পৌরসভার, সেই এলাকায় একটিও করোনা আক্রান্ত এক দিনে না হওয়ায়, আশা তৈরি হয়েছে অনেকের মনে। এদিন ছই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসকের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিউটাউনে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শনিবার থেকে সেখানে কাউকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর প্রয়োজন হলে তা করা হবে। ওই কেন্দ্রে চিকিৎসা খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” আর পৌরসভার পক্ষ থেকে করোনাকে আটকানোর জন্য যে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা ফিরহাদ হাকিমের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে কলিকাতায় রেড সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে যাওয়ায়, এখন তা পুরোপুরি কবে শেষ হয়, তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের। এখন সকলেই চাইছেন, ধীরে ধীরে কঠোর পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে সহজেই যেন মোকাবিলা করা যায় করোনা ভাইরাসকে। আপনার মতামত জানান -