ভারতে আপনার করোনা আক্রান্ত হওয়ার চান্স কতটা জানেন কি? কি বলছেন ল্যাবের প্রধান চিকিৎসক? অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য August 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারাবিশ্বের এখন একটাই কাজ করোনা ভাইরাসের দমনে একজোট হয়ে লড়াই করা। তবে দেশের তথা বিশ্বের সমস্ত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একমাত্র নিজেদেরকে স্টং করলেই মানুষ পারবে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে। সেক্ষেত্রে নিজেদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলা দরকার। ইতিমধ্যেই সেটি করতে চারিদিকে শোনা যাচ্ছে নানা মুনির নানা মত। তবে আপনি কি জানেন আপনার শরীরের মধ্যেই রয়েছে এর রহস্য। জেনে নিই আসুন… অ্যান্টিবডি বা ইমিউনোগ্লোবিউলিন এক ধরনের প্রোটিন দ্বারা সৃষ্ট ওয়াই আকৃতির গঠন বিশিষ্ট যৌগ, যা আমাদের রক্তরসে থেকে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে এগুলি জীবাণুর আক্রমণে দ্বারা জীবাণু সংক্রমিত কোষটিকে প্রথমে চিহ্নিত করে এবং পরে সেটিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। জন্মের পর প্যাসিভ টিকা দানের মাধ্যমে বাচ্চার শরীরে অ্যান্টিবডির গঠন তৈরিতে একটি প্রভাব দেওয়া হয়। যেহেতু অ্যান্টিবডি রক্ত প্রবাহের সঙ্গে অস্তিত্বশীল অবস্থায় থাকে, তাই এগুলিকে হিউমোরাল ইমিউন সিস্টেমের অংশ বলে মনে করা হয়। অ্যান্টিবডিগুলি তিন ভাবে কাজ করে। প্রথমে এগুলো জীবাণুকে আবদ্ধ করে সংক্রমিত কোশ গুলিতে প্রবেশ করে এবং সেই জীবাণুকে ধ্বংস করে। এরপর অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি গুলি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি একটি সংস্থা দাবি করেছে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৭০ হাজার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছে তারা। যেখানে ভারতীয়দের শরীরে গড়ে ২৬ শতাংশ অ্যান্টিবডি রয়েছে বলে জানা গেছে। এই অ্যান্টিবডি থাকার অর্থ হচ্ছে কোনো না কোনো ভাবে করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন ওই সব ব্যক্তিরা। তবে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া মানে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে জিতেছে, তবেই আক্রান্ত হওয়ার পরে দ্রুত সুস্থও হয়েছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে সারা বিশ্বের মধ্যে যত সংখ্যক মানুষের এই অ্যান্টিবডি তৈরীর খোঁজ রয়েছে তাতে ভারতীয়রা অনেকটা এগিয়ে। কারণ তারা যা আশা করেছিলেন, তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি রয়েছে ভারতীয়দের শরীরে। আর সব বয়সের মানুষের শরীরেই এই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাদের ধারণা ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতীয়দের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। আর এইভাবেই ধীরে ধীরে প্রতিহত করা যাবে করোনা ভাইরাসকে। তখন কেবল সাধারণ ভাইরাল ফিভার- এর মতই থেকে যাবে সেটি। তবে সবার প্রথমে মানুষের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আপনার মতামত জানান -