এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মোদীর হাত ধরে ‘নয়া’ ভারতের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ছে চীন! মেনে নিচ্ছে খোদ মার্কিনী সংবাদমাধ্যম!

মোদীর হাত ধরে ‘নয়া’ ভারতের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ছে চীন! মেনে নিচ্ছে খোদ মার্কিনী সংবাদমাধ্যম!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সময়টা ছিল জুন মাসের ১৫ তারিখ। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষে সেদিন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়। এরপর চিনের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো না হলেও, তাদের ৫০ জন জাওয়ান এতে প্রাণ হারিয়েছিল বলেই অনুমান করা হয়। তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিনের মধ্যে সেনা ও প্রশাসনিক স্তরে অনেকবার আলোচনা চলেছে অনেকবার। দুপক্ষই নিজেদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়েও ৩১ তারিখ পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে চীনা সৈন্য। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া হয়। এই সময় শত্রু পক্ষকে ঢুকতে বাধা দিলে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের একপ্রস্থ সংঘর্ষও হয় বলে জানা যায়। এর আগে ২৯শে আগস্ট ও ৩০শে আগস্ট রাতে ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বলেও সেনার তরফে আগে জানানো হয়েছিল।

এরপর ৩১শে আগস্ট যখন দুই দেশে মধ্যে সেনা স্তরের আলোচনা করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, সেদিন রাতেই আবার চীনের সেনা দুঃসাহসিকতা দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আবারও ভারতীয় সেনার তৎপরতাতে তৎক্ষণাৎ চীনের সেনার প্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে এখানেই থেমে থাকবে না বলেই জানা গেছে এক মার্কিন গবেষণায়। তাদের দাবি, এভাবে চুপ করে বসে থাকার মানুষ নন চীনের শাসক শি জিনপিং। তাই ভারতের ওপর আবারও আগ্রাসন নীতি প্রয়োগ করতে পারে চীন। ফলে ভারতের উচিত আরও সতর্ক থাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তদের কথায়, চিনা সেনার এই ব্যর্থতা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি চিনের শাসক শি জিনপিং। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে বেজিং ফের একবার আক্রমনাত্মক আচরণ করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। উপরন্তু সেখানে শি জিনপিংকেই চীনের এই আগ্রাসী মনোভাবের মূল কারিগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কথায়, ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসী মনোভাব সফল করতে শি জিনপিং সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি ও তাঁর সেনা ভারতের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে এই ব্যর্থতাকে তিনি মোটেই সহজ ভাবে নেননি। আর ব্যর্থতার ফলে ভারতের বিরুদ্ধে চিনা শাসক ফের একবার প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই দাবিবকরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর ফলে ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে তারা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুন মাসের চীনের এই ব্যবহারের প্রতিবাদ করে ভারত চীনা অ্যাপের বিরুদ্ধে এবং চীনা দ্রব্যের বিরুদ্ধেও বিরোধিতার ডাক দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে ডিজিটাল স্ট্রাইক হেতু অসংখ্য চীনা অ্যাপের সঙ্গে চীনা দ্রব্য বর্জনের জন্য সারা দেশের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধতা। এরপরের বারবার আলোচনার পরও কিন্তু চীন তার স্বভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলেই বোঝা গেছে তাদের কর্মকান্ড থেকে। অন্যদিকে, চীনের সেনার বারবার এই আক্রমনাত্বক মনোভাব দুই দেশের সম্পর্ককে দিনের পর দিন খারাপ করছে বলেই অনুমান করা হয়েছিল। তাই চীনকে নিজেদের সেনাকে সহবত শেখাতেই নির্দেশ দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রক। তবে এবার যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে আবারও নতুন করেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে ভারত চীন সীমান্তে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!