বিধানসভার আগে স্বজনপোষণের অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের পথে তৃণমূল? জানুন বিস্তারে কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল স্বজনপোষণের। চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগের বিষয়ে এই অভিযোগ সামনে আসার পরই সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় পুরো দপ্তর। এর পরে এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসে নবান্ন। এরমধ্যেই আবার রাজ্যের বেশকিছু জেলার বিভিন্ন পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলিতে এরকম অস্বচ্ছতার অভিযোগ বহু বার এসেছে। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ পাবার পর এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, রাজ্যের মোট ১২৫ টি পুরনিগম, পুরসভায় মেয়র, চেয়ারম্যান, পুর পরিষদের সদস্য বা কাউন্সিলের আত্মীয়রা চাকরি পাবেন না। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করার জন্য ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ বা ডিএলবিকে দায়িত্ব দেয়া হলো। প্রসঙ্গত, কোন পুরসভাতে নিয়োগ, নিয়োগের অনুমোদন, নতুন পদ সৃষ্টি এসব বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বে থাকে ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডিজ বা ডিএলবি।রাজ্য সরকারের নির্দেশ, কোন ভাবেই রাজ্যের পুরসভা বা পুরনিগমে জনপ্রতিনিধিদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন চাকরি পাবেন না। যদি কারোর আত্মীয়-স্বজনের নাম সেখানে থাকে তবে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয়া হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্টভাবে জানালেন, ” জনপ্রতিনিধির আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ করলে মানুষের মধ্যে খারাপ ধারণা তৈরি হয়। তাই সিলেকশন কমিটিতে যিনি থাকবেন, তাঁর আত্মীয়-পরিজন চাকরি পাবেন না। শুধু তাই নয়, মেয়র, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলারের বাড়ির লোকজন চাকরি পেলে বা প্যানেলে নাম থাকলে, তা বাতিল হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে তিনি ডিএলবিকেও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে স্বজনপোষণের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভাবে দল থেকে মুছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে যে, কাউন্সিলারের ছেলে, ভাই, ভাইপো ,পুত্রবধূ, দূর সম্পর্কের আত্মীয়রাও পুরসভায় চাকরি পেয়ে গেছেন। আইনের ফাঁক গলে যাতে কেউ এ কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। আবার অনেক সময় ভালো চাকরি ছেড়ে দিয়েও কাউন্সিলরের আত্মীয়-স্বজনরা পুরসভায় চাকরি করছেন।অনেক ক্ষেত্রে আবার কাউন্সিলর পদত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন পুরসভার চাকুরীতে। এর ফলে বঞ্চিত হয়েছে সাধারণ চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে অনেকে আছেন আবার তৃণমূল কর্মী। এ বিষয়ে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এই সমস্ত কিছু বিবেচনা করে সরকারের এই কঠোর সিদ্ধান্ত। বিধানসভা ভোটের নিরিখে সরকারের এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে, তেমনি তা সন্তুষ্ট করবে রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের। আপনার মতামত জানান -