এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিধানসভাতেও বিক্ষোভ বিজেপির, সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক

দলীয় নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিধানসভাতেও বিক্ষোভ বিজেপির, সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে শুরু করে। যার মধ্যে শিরোনামে ছিল ভাটপাড়া এলাকা। গত রোববার পার্টি অফিস দখল, পাল্টা দখলকে কেন্দ্র করে ফের সেই এলাকা উত্তেজিত হতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, পুলিশের লাঠির আঘাতে মাথা ফাটে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের।

যার পর থেকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক এবং সর্বশেষ অর্জুন সিংহের উপর এই হামলার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে গেরুয়া শিবির। সেইমতো সোমবার ব্যারাকপুরে 12 ঘন্টার বনধের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর দলীয় নেতা থেকে জনপ্রতিনিধিদের ওপর তৃণমূল ও পুলিশের হামলার ঘটনা এবার বিধানসভায় তুলে ধরে সরব হতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদের। যে ইস্যুতে বিধানসভার অধিবেশন শুরুতেই সরগরম হয়ে উঠল।

জানা গেছে, এদিন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ অর্জুন সিং এবং তাঁরই মতো তৃণমূল ছেড়ে আসা বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের উপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা নিয়ে এদিন বিধানসভায় সরব হতে চান দুলাল বর। তবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সেই অনুমতি না দেওয়ায় ব্যাপক হইচই সরে করে দেন দুলাল বর। আর তার ফলেই শেষমেশ একসময় কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতা বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুলাল বরকে সাসপেন্ডের পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে চ্যাংদোলা করে কক্ষ থেকে বের করার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এর ফলে দুলালবাবুর সঙ্গে প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় সদন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিজেপির বাকি দুই বিধায়ক জুয়েল মুর্মু ও নীরজ জিম্বা। পরে বিধানসভার বাইরে দুলালবাবু বলেন, “এই ইস্যুতে আমরা আমাদের প্রতিবাদ সদনের ভিতরে বা বাইরে চালিয়ে যাব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়,এদিন সকালে অধিবেশনের শুরুতেই দুলাল বর তাঁর আসন থেকেই দাঁড়িয়ে হাত তুলে অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলার কথা জানাতে থাকেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তাতে খুব একটা আমল না দেওয়ায় দুলালবাবু তখন নিজের আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে অধ্যক্ষের চেয়ারের সামনে এসে চিৎকার করতে থাকেন। আর এরপরই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সদনের বিধির কথা স্মরণ করিয়ে সতর্ক করলেও তাতেও কর্ণপাত না করে এককভাবেই নিজের বিক্ষোভ চালিয়ে যান দুলাল বাবু।

যার জেরে অধ্যক্ষ সেই দুলালবাবুকে এদিনের জন্য সদন থেকে বহিষ্কার করেন। শুধু তাই নয়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিজেপি বিধায়ক দুলাল বরকে সদন থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বিধানসভার মার্শালকে নির্দেশ দেন। আর অধ্যক্ষের নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই মার্শাল অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুলাল বরকে ওয়েল থেকে চ্যাংদোলা করে কক্ষের বাইরে নিয়ে যান। আর এরপরই সদন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অপর দুই বিজেপি বিধায়ক জুয়েল ও নীরজ।

পরবর্তীতে ভবনের মূল ফটকের সামনে সিঁড়িতে তিন বিজেপি বিধায়ক তাদের ধর্না শুরু করেন। এদিন এই প্রসঙ্গে দুলাল বর বলেন, “প্রথমে বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের উপর তাঁর বাড়ির সামনেই আক্রমণ করা হল। তারপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পরপর দু’দিন টার্গেট করল শাসক দলের গুন্ডারা। সবশেষে রবিবার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটানো হল। এই সব ঘটনা নিয়ে আমি পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করেছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ সেই অনুমতি দিলেন না। তার প্রতিবাদ করাতে আমায় যেভাবে চ্যাংদোলা করে সদন থেকে বের করে দেওয়া হল, তা উপস্থিত সকলেই দেখেছেন। সরকার বিধায়কদের অধিকার রক্ষা করছে না। আমরা এর প্রতিবাদ অবশ্যই চালিয়ে যাব সদনের ভিতরে না হলেও বাইরে।”

সব মিলিয়ে এবার রাজ্যজুড়ে বিজেপি নেতা, জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলার ঘটনায় বিধানসভার অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় একদিনের জন্য বিজেপি বিধায়ক বহিষ্কার হওয়ায় পরবর্তীতে এই ব্যাপারে বিধানসভার ভেতরে বিজেপি ঠিক কি পদ্ধতি অবলম্বন করে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!