এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা ভোট জিততে শাসকদলকে মাত দিতে নয়া পদক্ষেপ বিজেপির

বিধানসভা ভোট জিততে শাসকদলকে মাত দিতে নয়া পদক্ষেপ বিজেপির

2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। 2015 সালের দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তাই একপ্রকার নিশ্চিত ছিল পদ্মফুল শিবির। কিন্তু সেই নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়তে হয় ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

এর কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, আম আদমি পার্টির বিপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ভারতীয় জনতা পার্টি যেই প্রাক্তন আইপিএস তথা আন্না আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিরণ বেদীকে সামনে রেখেছিলেন, তাকে ঠিকমত মেনে নিতে পারেনি দিল্লির জনগণ।

এবার তাই সেই পথে আর হাঁটতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই কারণেই কার্যত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই নির্বাচনে একাধিক ইস্যু নিয়ে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। বস্তুত, এক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দিল্লিতে যদি তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসে, তারপরে মুখ্যমন্ত্রী পদের নাম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইতিমধ্যেই 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়ার পরে মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে ঝাড়খন্ড পর্যন্ত প্রবল ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, গত এক বছরে যেই 6 টি নির্বাচন হয়েছে, তারমধ্যে পাঁচটি বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই আগামীদিনে দিল্লি বিধানসভা যদি ভারতীয় জনতা পার্টি সফলভাবে জয়যুক্ত না হতে পারে, সেক্ষেত্রে কিন্তু রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হবে দলকে। কারণ 2015 সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচন অনেক বেশি কঠিন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের কাছে।

সেই সময় একদিকে যেমন সদ্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে এসেছিল নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার, অন্যদিকে তেমনই একের পর এক রাজ্যে পদ্মফুল ফুটছিল। এবার কিন্তু চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। 2019 সালের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা সঙ্গে ক্ষমতায় আসলেও পরপর নির্বাচনগুলিতে যেভাবে পরাজয় স্বীকার হতে হচ্ছে পার্টিকে, সেইখানে দিল্লী দূর অস্ত বলেই মনে হচ্ছে।

তাই গতবার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কিরণ বেদীর নাম ঘোষণা করে ভারতীয় জনতা পার্টি যেই রণনীতি সহকারে নির্বাচনের মাঠে নেমেছিল, সেই রণনীতি এবার পরিবর্তন করতে চাইছে তারা। কারণ সেই সময় কিরণ বেদীর নামে সহমত হয়নি ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক নেতৃত্ব বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

আন্না আন্দোলনের মুখ হিসেবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি কিরণ বেদীকে ব্যবহার করতে চাইলেও সেই সময় দিল্লিতে দলের অন্যতম নেতারা যেমন হর্ষবর্ধন, বিজয় গোয়েল, রাজকুমার মালোত্রা ইত্যাদি নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেনি সেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে। কাজেই কিছুটা গোষ্ঠী কোন্দলের খেসারত দিতে হয়েছিল পার্টিকে। এবারের নির্বাচনে তাই সেই ধরনের ভুল করতে চাইছে না পার্টি। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপক্ষে ইতিমধ্যেই ব্যাটন সাজাতে শুরু করে দিয়েছে আম আদমি পার্টি বলে খবর।

এক্ষেত্রে আপের তরফ থেকে স্লোগানও তৈরি। তারা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করে দিয়েছে, “আচ্ছে বিতে পাঁচ সাল লাগে রাহো কেজরীবাল।” দেশে অর্থনৈতিক মন্দা থেকে শুরু করে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় ইতিমধ্যেই পাল্লা ভারী করে দিয়েছে কেজরিওয়ালের বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাই এখন রণনীতি বদল করে দিল্লি বিধানসভাতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা পদ্মফুল ফোটাতে পারে, নাকি নিজের প্রতীক চিহ্ন ঝাঁটার উপর ভর করে এগিয়ে যায় কেজরিবাল! সেদিকেই তাকিয়ে থাকবেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!