বিধানসভায় বিজেপির তৃণমূল বধের নীল নকশা তৈরী? আর দু সপ্তাহের মধ্যেই ময়দানে ঝাঁপাতে চলেছে? উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে যথেষ্ট ভাল ফল করেছিল বিজেপি। আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের জয়ের ধারা ধরে রাখার প্রবল চেষ্টায় আছে বিজেপি। এই কারণেই কালীপুজো শেষ হবার পর শিলিগুড়ি মহকুমায় একেবারে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে বিজেপি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনাও তৈরি হয়ে গেছে। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কিছুটা ভাটা পড়ে ছিল, তাই কালীপুজো শেষ হলেই বৈঠক, পথসভা, মিছিল ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে দলকে উজ্জীবিত করার পরিকল্পনা নিল বিজেপি। এদিকে আগামী রবিবার রয়েছে বিজেপির বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বিজেপির কার্যকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে দলের আগামী কর্মসূচির সমস্ত তালিকা। এর সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে বিজেপি। শিলিগুড়িতে বিজেপির এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা শুরু হল। প্রসঙ্গত, খুব দ্রুত বিজেপি বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচন কমিটি গঠনের কাজ আরম্ভ করতে চলেছে। বিজেপি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের কেন্দ্রে ১৫ জনের একটি নির্বাচন কমিটি গঠনের কাজ শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই যার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক করা হলো বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ পালকে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি শিলিগুড়ি শহর ও জলপাইগুড়ি জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, বিধানসভা এলাকায় কোথায় কেমন প্রচার করা হবে, দলের পতাকা, ব্যানার, ফ্লেক্স কোথায় টাঙ্গানো হবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তদারকি করবে বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক এই নির্বাচন কমিটি। সেই সঙ্গে তিনি জানান যে, বিজেপির রাজ্য কমিটির নির্দেশেই এই বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে কালী পূজার পর থেকেই রাজনৈতিক ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল জানালেন যে, কালীপুজো মিটে গেলেই আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ রেখে ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি। শাসক দল তৃণমূলের সন্ত্রাস, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম, রাজ্যজুড়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ইত্যাদি বিষয়ে কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার করা হবে। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথাও জানানো হবে মানুষকে। এই সব কাজের জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের আগামী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই বিজেপির আগামী কর্মসূচির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। বিজেপির দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি যুব, মহিলা, কৃষক সংগঠনের কর্মীরাও গ্রামে গ্রামে মিছিল করবেন, পাড়াতে পাড়াতে বৈঠক, পথসভা করবেন। মণ্ডল কমিটির সদস্যরাও তাঁদের বৈঠক করবেন। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে জেলা কমিটির সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডল কমিটির সমস্ত কার্যকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমনের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে দলের মধ্যে তেমন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল ছিলো না। একারনে সংগঠন বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঝিমিয়ে পড়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যদিওবা কিছু কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কিন্তু দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখনো সেভাবে সতেজতা দেখা যায়নি। তবে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সফরের সময়ে দল উজ্জীবিত হয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক কর্মসূচির অভাবে আবার ঝিমিয়ে পড়েছে দল, তাই কালী পূজার পর দলকে চাঙ্গা করতে বিজেপির এই বিশেষ কর্মসূচি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মন জানালেন, ” কোভিড পরিস্থিতির জেরে প্রকাশ্য কর্মসূচি সেভাবে না থাকলেও দলীয় কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। তবে, কালীপুজোর পর তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামব। শুধু তাই নয়, বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠনের কাজও শুরু হয়েছে।” এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে শাসকদল তৃণমূলকে একেবারে মাত করে দিতে শিলিগুড়ি মহকুমাতে একেবারে কোমরবেঁধে নামতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -