প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে আয়কর দপ্তরের নোটিশ পেয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এরপর গরু পাচার কাণ্ডে আজ তাঁকে তলব করে সিবিআই। যদিও আজ সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হননি তিনি। আর এবার নির্বাচন কমিশন তাঁকে নজর বন্দী করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

জানা যাচ্ছে, আজ বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু করে শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত নজর বন্দি করে রাখা হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানা যাচ্ছে, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো রকম বাধা-বিঘ্ন না আসে, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে নজরবন্দি করবেন। এই ঘটনার ভিডিও গ্রাফি করা হবে।

গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও অনুব্রত মণ্ডলকে নজর বন্দী করা হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, অনুব্রত মণ্ডলের রেকর্ড খতিয়ে দেখার পরই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে কিছুদিন আগেই বীরভূমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময় অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থেকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, ওরা কেষ্টকে সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই তাঁকে নজরবন্দি করে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এভাবে কাউকে নজরবন্দি করাটা বেআইনি। এবারও যদি তাঁকে নজরবন্দি করে, তবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে যেতে বলবেন। এবার অনুব্রত মণ্ডল আদালতে যান কিনা? সেদিকে নজর থাকবে সকলের। তবে, ৬০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কোন নেতাকে এভাবে নজরবন্দি করে রাখা, বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।