এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কবিতার হাত ধরেই “সুদিনের স্বপ্ন” প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী

কবিতার হাত ধরেই “সুদিনের স্বপ্ন” প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরাবরই শাসন ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করে মাঠে ময়দানে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে। তা 35 বছরের বাম শাসনের হোক, অথবা বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, মমতার বিরোধিতা থেকে ছাড় পাননি কেউই। তবে দীর্ঘদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্য এবং কবিতার সঙ্গে যুক্ত ক্রোকোডাইল আইল্যান্ড থেকে শুরু করে উপলব্ধি সহ নানান রকমের কবিতা, সাহিত্য রচনা করেছেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই কখনও তার লেখনি অথবা তার কবিতাকে হাতিয়ার করেছেন। নানা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কবিতাকে হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল নেত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় আত্মপ্রকাশ করল মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এক নতুন কবিতা। কবিতার নাম “একদিন”। যার ছত্রে-ছত্রে আমরা দেখতে পাই, দিনবদলের বার্তা, শান্তির বার্তা।

এই কবিতার মধ্য দিয়ে তার দেখা স্বপ্নেরও প্রতিফলন ঘটেছে। কবিতাটা হচ্ছে, “একদিন আসবেই, যেদিন থাকবে না যুদ্ধ, একদিন আসবেই, যেদিন থাকবে না ঘৃণা,” গোড়া থেকেই তিনি যুদ্ধবিরোধী ভাবনাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ছন্দে দিয়েছেন প্রেম এবং ভালোবাসার শাশ্বত বার্তা। কবিতার সূত্র ধরে আরও খানিকটা ঘুরলে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সেখানে লিখেছেন, “একদিন আসবে, যখন পৃথিবী জাগবেই”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি ছন্দ তৈরি করেছেন, যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার মূলমন্ত্র জেগে জেগে ঘুমিয়ে থাকা নয়, সকল প্রকৃতির জাগরণের মধ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অনেক রকম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তার নিয়ন্ত্রণ করা।

বোঝা যায়, এটা তার জীবনে স্থির বিশ্বাস যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সমাজের মধ্যে যা ঘটনা ঘটলে বন্দিদশায় হবে। তার একমাত্র ভবিষ্যত যদি কবিতা শেষের দিকে দেখা যায়, তাহলে লক্ষ করা যাবে সেই অংশে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আসবে আসবে সেদিন, নব সংস্কারের দিন সন্ত্রাস বিদায় নেবে, লম্ফঝম্পও যাবেই,” সন্ত্রাস মুক্ত পৃথিবীর ছবি কিনা মানসচক্ষে দেখে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই স্বপ্নের কথা উঠেছে ছন্দে ছন্দে।

আর তার কথার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে তিনি দম্ভকেই আত্মপতনের জন্য মূল দায়ী হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। আর সূক্ষ্মঅনুভূতি জীবনবোধ দিয়ে তিনি নিজেকে বুঝিয়েছেন বলেই অহমিকা বর্জনের কথা সব সময়ই তাঁর কণ্ঠে উঠে এসেছে। যদিও কবিতার দিকে যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে সেখানেও সেই বার্তা স্পষ্ট। কবিতার একেবারে শেষে এসে তিনি নিজের অনুপস্থিতিতে ভাবনার ছাপ রেখে যেতে চান বলে প্রকাশ করেছেন।

বোধহয় সাধারণের সঙ্গে মিশিয়েও বোধের দিক থেকে সাদামাটা জীবনে উর্ধ্বে উঠতে পারছেন বলেই এমন একটি অনুভূতি দ্বারা তাড়িত হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মনোভাব প্রকাশ পায়, তাই তার কবিতার মধ্য দিয়ে। যার কারণে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় লিখতে পারছেন, “হয়ত থাকবো না সেদিন, তবু ভাবনায় থাকবো, চিন্তায় থাকব, গবেষণায় থাকব, হয়ত বা শান্তিতে ঘুমাব”

প্রসঙ্গত, গতানুগতিক ঘটনা তার নিজস্ব রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন এবং দেশের অবস্থানগত পরিবর্তন প্রতি মুহূর্তেই যে তাকে আত্ম চিন্তন করতে বাধ্য করছে, তার নমুনা এদিন মিলেছে তার কবিতার মধ্যে দিয়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!