এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিপদকালে বুদ্ধিনাশ, তৃণমূলের শেষের শুরু! শান্তিকুঞ্জ থেকেই বড় হুংকার অভিজিতের!

বিপদকালে বুদ্ধিনাশ, তৃণমূলের শেষের শুরু! শান্তিকুঞ্জ থেকেই বড় হুংকার অভিজিতের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-যারা তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করতে পারছে না, যারা এই দলটার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছে, মেরুদন্ড এবং বিবেক রেখে চোখে চোখ রেখে তৃণমূলকে সরাতে চাইছে, তারা কিন্তু ধীরে ধীরে এক ছাতার তলায় আসতে শুরু করেছে। সিপিএম, কংগ্রেস যে এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না, সেটা সকলেই বুঝতে পেরেছেন। সেই কারণে সবাই শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক বিশিষ্ট মানুষ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। যার মধ্যে অন্যতম কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করবে। তবে এখনও এই ব্যাপারে কোনো ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই এই সরকার কতটা ফ্যাসিস্ট, পুলিশ দিয়ে যে সব জায়গায় দমন পীড়ন করা হচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে তমলুকে গিয়ে অধিকারী পরিবারের দরজায় দাঁড়িয়ে বড় হুংকার দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার মুখেও সেই একই কথা উঠে এলো, যা এতদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন তমলুকে গিয়ে বিভিন্ন মন্দিরে পূজো দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে শিশির অধিকারী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। আর তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার যারা পুলিশকে প্রতি পদে পদে ব্যবহার করছে, তাদের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দেন অভিজিৎবাবু। তিনি বলেন, “এরা যে কাজ করছে, সেটা অনেকটা বিপদকালে বুদ্ধিনাশ। এদের যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই এখন পুলিশ দিয়ে সব জায়গায় অত্যাচার করা হচ্ছে।” অনেকে বলছেন যারা তৃণমূল বিরোধী লড়াইতে আছেন তারা সকলেই অনুভব করতে পারবেন যে পুলিশ কতটা মারাত্মক কাজ করছে এই রাজ্যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিবাদটা করতে পারলেই পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে সকলকে, সেখানে বাদ যাচ্ছেন সাংবাদিকরাও।

আজকে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি রাজ্যে তৈরি হয়েছে। সব জায়গায় রাজনৈতিক লড়াইতে পেরে উঠতে না পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতা দেখাতে চাইছেন। কিন্তু এই ক্ষমতা আর কতদিন? যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক শক্তি তৃনমূলের নেই। তারা প্রশাসনিক শক্তি দিয়ে এইসব কাজ হাসিল করতে চাইছে। তাই লোকসভা ভোট যদি নিরপেক্ষভাবে হয়, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, তাহলে সব শক্তি শেষ হয়ে যাবে তৃণমূলের। তারা এই রাজ্যের ক্ষমতায় আর থাকবে কিনা! পুলিশকে ব্যবহার করার মত শক্তি তাদের থাকবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে বঙ্গ রাজনীতিতে। এদিন শান্তিকুঞ্জ থেকে সেই সুরই বেঁধে দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও বেশ কয়েক মাস চাকরি ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি রাজ্যের যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে তিনি এটা সহ্য করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই তার রাজনীতির ময়দানে আসা। তিনি রাজনীতি থেকে কিছু পেতে আসেননি, বরঞ্চ কিছু দিতে এসেছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এই ফ্যাসিস্ট শাসকের বিরুদ্ধে যে লড়াইটা করছেন, সেই লড়াইয়ের সাথী হিসেবেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও কিন্তু পুলিশি রাজের কথাই শোনা গেল। বোঝা গেল যে, এই রাজ্যে পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রের টুটি চিপে ধরার কাজ চলছে। ধ্বংস করার কাজ চলছে গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল করছেন। তাই যখন মানুষের দেওয়ালে পিঠ থেকে যায়, তখন তারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে। স্বাভাবিকভাবে বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূলের বিদায়ের ঘন্টা বাজতে আর খুব একটা বেশি দেরি নেই। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!