এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা , জেনে নিন

রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা , জেনে নিন


 

রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে জাগদীপ ধনকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতানৈক্য তৈরি হয়েছে‌। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের দূরত্ব দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে। যাকে নিঃসন্দেহে রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপন্থী বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল।

আর রাজ্যপাল বনাম রাজভবনের তিক্ততার সম্পর্কের মাঝে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। যা সংসদে পাশ হয়ে যাওয়ার পরই তার বিরোধিতা করতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাজপথে নেমে এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বনাম কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির মধ্যে তীব্র করেছে আর এই পরিস্থিতিতে সংশোধিত আইনকে একটি রাজ্য বিরোধিতা করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি নেতারা। বস্তুত, বিভিন্ন সময়েই রাজ্যের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত, আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করতে দেখা যায় বঙ্গ বিজেপিকে। আর এবার রাজ্যের শাসকদলের এই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা নিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, গত রবিবার উত্তর 24 পরগনার নীলগঞ্জে বিজেপির তরফে আয়োজিত একটি সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গ বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। সেখানেই রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে যে উস্মা প্রকাশ করেছেন, সেই একই মন্তব্য শোনা যায় বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার গলায়। আর তারপরেই এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা বাড়িয়ে দেন।

এদিন শঙ্কুদেব পন্ডা বলেন, “ভারতবর্ষের কোনো আইন মানেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে তিনি কি একটি আলাদা ভূখণ্ড চাইছেন! বিজেপি এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চায় না। কিন্তু মমতা যেভাবে একের পর এক কেন্দ্রীয় নীতি ও আইনের বিরোধিতা করে চলেছেন, তাতে হয়ত কোনোদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখবেন বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেছে।”

আর বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতার মুখ থেকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সম্ভাবনা শোনা যেতেই এখন তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি সত্যিই এবার বাংলার আইন শৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বাংলা জারি হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন! এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!