BJP-র পার্টি অফিসে ছোঁড়া হলো বোমা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি তৃণমূলের চক্রান্ত? ধন্দে বিজেপি রাজ্য December 23, 2018 গতকাল সন্ধ্যায় বিজেপির পার্টি অফিসে আচমকা বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বালিডাংরি এলাকায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি কর্মী। আপাতত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই হিংসার কান্ড হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও এর নেপথ্যে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। গোটা ঘটনাটা নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলীয় অন্দরে। এখনো পর্যন্ত থমথমে রয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস চত্বর। স্থানীয়দের একাংশের দাবী, বালিডাংরি এলাকায় খল্পাপাড়ায় সাবমার্সিবল বসানোর কাজকে কেন্দ্র করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। পাম্প বসানোর কাজে কেন গড়িমসি করা হচ্ছে,এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই দিন দুয়েক আগে পাঁশকুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলেরই অফিসে তালা লাগিয়ে দেন জ়াকির হোসেন ও মোক্তার হোসেন। বিজেপি কাউন্সিলর সিন্টু সেনাপাতি অভিযোগে জানান, অফিস তালাবন্ধ করার পাশাপাশি তারা হুমকিও দেয় এটা বলে যে,কথা না শুনলে বন্দুকের নল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে এদিন তালা খুলে ওয়ার্ড অফিসে বসেছিলেন বসেছিলেন সিন্টু সেনাপতি এবং তার অনুগামীরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ জাকির হোসেন,মোক্তারের লোকজন পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করেন। এর জেরে রাজু কর এবং অসীম জানা নামে অফিসে বসে থাকা দুই বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হন। এমনটাই অভিযোগ। এরপর আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুধু তাই নয়,এই বোমাবাজির প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে পাঁশকুড়া-তমলুক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিন্টু সেনাপতির অনুগামীরা। পরিস্থিতি এতোটাই বেসামাল হয় যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পাঁশকুড়া থানার পুলিয় ও RAF-কে। প্রসঙ্গত, সিন্টু সেনাপতি আরো জানান উক্ত ঘটনায় অভিযুক্ত জাকির হোসেন এবং মোক্তার হোসেনরা আনিসুরের অনুগামী। এই আনিসুর তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বিজেপিতে যোগ দেন। আনিসুরই চক্রান্ত করে এদিন বোমাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি কাউন্সিলরের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে আনিসুর আবার এ অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ। গতকালের ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন,এমনটাই দাবী আনিসুরের। তার বক্তব্য,পার্টি অফিসে বোমাবাজি হয়েছে এমন খবর শুনেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আবার এই হিংসাত্মক ঘটনায় জন্য দায়ী করেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। অন্যদিকে, বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলেন পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র। পাল্টা অভিযোগে তিনি জানালেন,বিজেপি বরাবরই খুন,বোমা এবং সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। ক্ষমতায় নেই তাই নিজেদের মধ্যেই বোমাবাজি করছে। উল্লেখ্য, বিজেপির পার্টি অফিসে বোমাবাজির কান্ডে আসলে কারা জড়িত সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। উক্ত সন্ত্রাসজনক কার্যকলাপকে কেন্দ্র বিজেপি তৃণমূলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের খেলা চলছে কেবল। তবে বিজেপির অন্দর থেকে এই প্রেক্ষিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে এখনো। এই অবস্থায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কী প্রতিক্রিয়া দেন তা নিয়ে জেলার নেতা-কর্মীমহলে চর্চা শুরু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -