এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপিতে যোগ দিতে এসে ফিরে গেলেন হেভিওয়েট নেতা! বড় ধাক্কা পদ্ম শিবিরের!

বিজেপিতে যোগ দিতে এসে ফিরে গেলেন হেভিওয়েট নেতা! বড় ধাক্কা পদ্ম শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান বঙ্গ রাজনীতিতে দল ভাঙার খেলা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও তৃণমূল থেকে বিজেপি, আবার কখনও বা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া যেন এখন স্বাভাবিক ব্যাপার। আর এই পরিস্থিতিতে কোন দল কত বেশি নেতাকে নিজেদের দিকে টানতে পারে, তা নিয়ে যখন চর্চা চলছে, ঠিক তখনই হুগলির ডানকুনিতে ঘটে গেল এক অন্যরকম ঘটনা। প্রসঙ্গত, ডানকুনি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন।

আর সেই মত নিজের 500 জন অনুগামী নিয়ে এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। কিন্তু ডানকুনিতে দিলীপ ঘোষের সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আসলেও, রীতিমতো অসম্মানিত হয়ে সেখান থেকে ফিরে গেলেন এই তৃণমূল নেতা। আর এরপরই রাজনীতির সঙ্গে তিনি তার সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সেই কৃষ্ণেন্দু মিত্র। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

কেন বিজেপিতে যোগ দিতে এসেও তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন না! আর বিজেপির পক্ষ থেকে যখন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিজেদের দিকে টানা হচ্ছে, তখন কেন কৃষ্ণেন্দুবাবুকে বিন্দুমাত্র সম্মান দেওয়া হল না! যেখানে অসম্মানের অভিযোগ করে রীতিমত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বদলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানাতে দেখা গেল ওই নেতাকে! এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু মিত্র বলেন, “আমি কেন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি একথা জানানোর জন্য আমাকে বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। যেহেতু আমি ডানকুনির মানুষের স্বার্থে অন্য দলে যাচ্ছি, তাই ডানকুনি বাসীকে একথা জানানো অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু আমি যদি সেই কথা মানুষকে জানাতে না পারি, আগামী দিনে মানুষ আমাকে বলবে, স্বার্থ ও টাকার জন্য অন্য দলে গিয়েছে। কিন্তু সেটুকু বলার সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়নি। তাই নিজের আত্মসম্মান রক্ষা করবার জন্য আমি বিজেপিতে যোগ না দিয়ে ফিরে গিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর প্রচুর অনুগামী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শেষ পর্যন্ত বিজেপিতে নাম লিখিয়ে না লিখে ফিরে আসায় এখন গেরুয়া শিবির অনেকটাই বিড়ম্বনায় পরল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন এই দলবদলকারী নেতাকে কিছু বলতে দেওয়া হল না! তাকে কিছু বলতে দিলে কি ক্ষতি হত! যদি তাকে কিছু বলতে দেওয়া হত, তাহলে তো তিনি অন্তত সম্মান পেয়ে আরও বেশি পরিমাণে বিজেপির ময়দানে নামতেন। সেক্ষেত্রে তিনি বলার সুযোগ না পাওয়ায় তার সম্মান নেই বলে বিজেপিতে যোগ দিতে এসে আবার ফিরে গেলেন বলে দাবি করছেন একাংশ।‌

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানান তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্র। কিন্তু এরপরই তাঁর দলবদল আটকাতে চন্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার তাকে ফোন করেন। কিন্তু সেই ফোন পেয়েও নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি তিনি। উল্টে কেঁদে তিনি তৃণমূলের জন্য কি কি করেছেন, তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন। যা রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই কৃষ্ণেন্দুবাবু নিজের অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগদানের জন্য আসলেও সেখানে রীতিমত সম্মান না পেয়ে এবার রাজনীতি ত্যাগ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন। স্বাভাবিকভাবেই যখন দলবদল বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে, তখন কৃষ্ণেন্দুবাবুর এই ধরনের পদক্ষেপ নজির হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!