এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির দ্বৈত রূপ প্রকাশ্যে ? পর্দাফাঁস করলেন মমতার সৈনিক!

বিজেপির দ্বৈত রূপ প্রকাশ্যে ? পর্দাফাঁস করলেন মমতার সৈনিক!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, বলে বিভিন্ন সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যখন ত্রিপুরাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়েছে, তখন সেখানকার বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের উপর আঘাত নেমে এসেছে বলে অভিযোগ। আর এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই এবার বাংলার ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা নেত্রীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, যারা বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে সবসময় প্রশ্ন তোলে, তারা নিজেদের দখলে থাকা অন্য রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আগে খতিয়ে দেখুক। তারপরে তারা পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। স্বভাবতই ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে এখন তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যখন গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তখন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরাতে কি হচ্ছে, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সূত্রের খবর, এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিরোধান দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ফিরহাদ হাকিম। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির এই দ্বৈত নীতি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। বাংলায় কুমিরের কান্না আর ত্রিপুরায় বর্বরতা চলছে। এই দুটো বিজেপি পার্টি করছে। গণতন্ত্র নিয়ে যে পার্টি বাংলায় কান্না করছিল, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো ছিল। তা আজ প্রমান হল।ত্রিপুরায় আদৌ কি গণতন্ত্র রয়েছে? ত্রিপুরায় বিজেপিকে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে। ওরা যত মারবে, কত শক্তিশালী হব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যখন গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, তখন ত্রিপুরায় সেই বিজেপি সরকারের পুলিশ কী করছে, সেই কথা তুলে ধরে বাংলার মানুষের কাছে বিজেপিকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী বলে দাবি করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সংগঠনকে বিস্তার করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ত্রিপুরায় তারা সক্রিয় হতেই সেখানকার প্রশাসন জোর করে কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় যখন তৃণমূল বনাম বিজেপির তরজা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন বঙ্গ বিজেপির উদ্দেশ্যে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!