প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার বহিস্কৃত তৃণমূল নেতার গাড়ির তলা থেকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যে ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে নন্দীগ্রামে। বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই ভয়াবহ দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা বিলি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম উঠতে শুরু করেছিল। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামের 25 জন নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন কেন্দামারি জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগম এবং তার স্বামী তথা ব্লক কমিটির সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন।

যেখানে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন সেই মানসুরা বেগম। পরবর্তীতে 15 সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন হলে সেখানে আবার প্রধান হন তিনি। আর এরপর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে মানসুরা বেগম এবং তার স্বামী সহ মোট চারজন পঞ্চায়েত সদস্যদের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অশান্তি এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জানা যায়, এদিন শেখ শাহাবুদ্দিনের গাড়ির নীচ থেকে বোমা উদ্ধার হয়। আর এর পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

গোটা ঘটনার প্রতিবাদে শেখ শাহাবুদ্দিনের অনুগামীরা সকাল সাতটা থেকে সাড়ে নটা অব্দি রাস্তা অবরোধ করে চক্রান্তের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। যেভাবে তার গাড়ির তলা থেকে বোমা উদ্ধার হল, তাতে তিনি তো অনেকটাই চাপে পড়লেন! এদিন এই প্রসঙ্গে শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন, “রোজ রাতে বোমা ফাটানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতেও বোমা ফাটানো হয়েছে। আমাদের গাড়ির নীচে দুটি চাকা সামনে জোড়া বোমা রাখা হয়েছিল। এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদে হাজরাকাটা অবরোধ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিপক্ষ শিবির থেকেই এটা করা হয়েছে।”

এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের বলেন, “খবরে ভেসে থাকার জন্য চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতে এরকম গল্প তৈরি করা হচ্ছে। তবে এসব করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।” একইভাবে এই ব্যাপারে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, “প্রচারে আসার জন্য এসব গল্প বানিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে‌।” সব মিলিয়ে এবার বহিস্কৃত তৃণমূল নেতার গাড়ির তলা থেকে তাজা বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।