এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বড়সড় সুখবর, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের!

বড়সড় সুখবর, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এ যেন অনেকটা বিয়ে ঠিক হয়নি, অথচ বর বিয়ে করতে চলে এসেছে, সেই রকম ব্যাপার। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাজ্যে আছড়ে পড়তে পড়ে “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ঘূর্ণিঝড় কিভাবে আছড়ে পড়বে, কতটা ক্ষতি হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় কেউই। তবে আগেভাগেই সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফসলের কোনো ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ কি হবে, সেই ব্যাপারে ঘোষণা করে দিল রাজ্য সরকার।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে অনেকে যেমন আশ্বস্ত হতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই কিভাবে আগেভাগে নিশ্চিত হয়ে এই ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা‌ হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বলা বাহুল্য, এক বছর আগে আম্ফানের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে সাহায্য দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তাই এবার ভয়াবহ দুর্যোগ হওয়ার আগেই ফসলের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকার এই ঘোষণা করে দিয়ে সকলকে নিশ্চিন্ত করতে চাইল বলেই মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত, প্রতিমুহূর্তে বদলাতে শুরু করেছে ইয়াস নামক ঘূর্ণিঝড়। ওড়িশা দিয়ে তা রাজ্যে প্রবেশ করার কথা রয়েছে। তবে আম্পানের মত তা ভয়াবহ হবে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে তা সত্ত্বেও কোনোরকম রিস্ক নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই আগেভাগেই ফসলের কোনো ক্ষতি হলে, তার কি ক্ষতি পূরণ হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, ঝড়-বৃষ্টিতে যদি বহু ফসলি জমির ক্ষতি হয়, তাহলে হেক্টরপ্রতি 13 হাজার 500 টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। অন্যদিকে এক ফসলি জমির ক্ষতি হলে 6 হাজার 800 টাকা দেওয়া হবে। আর পান বা বাদাম চাষের যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে হেক্টরপ্রতি 18 হাজার টাকা করে সাহায্য পাবেন সাধারণ মানুষ। অর্থাৎ দুর্যোগ হওয়ার পর যাতে কৃষকরা কোনোভাবেই চিন্তায় না পড়েন, তার জন্যই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ বলে দাবি করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কৃষি ফসলের ক্ষতির উপরে নজর রাখতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে 12 জন অফিসার থাকবেন। রাজ্যের কোথায় ফসলের কতটা ক্ষতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা কতটা ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখেই ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক বছর আগেকার তিক্ত স্মৃতি এখনও কাটেনি। এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রথম‌ ঢেউ যখন প্রবেশ করেছিল, তখন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপান পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল। উপকূলবর্তী জেলাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

পরবর্তীতে সাহায্য দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এবার যাতে সেই সাহায্য নিয়ে কোনোরকম সমস্যা তৈরি না হয়, তার জন্য আগেভাগেই রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের তথ্য সামনে আনল। এক্ষেত্রে ফসলের কোনো ক্ষতি হলে তার কতটা ক্ষতি পূরণ হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হল। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন কৃষিজীবী মানুষেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!