প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা ভোটের পূর্বে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের একমুখী স্রোত চলেছিল। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। একের পর এক নেতাকর্মী দল ছাড়তে শুরু করেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই যোগদান করেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। দলের এই ক্রমাগত ভাঙ্গন কপালে ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি ছেড়ে দিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ফিরোজ কামাল গাজী বা বাবু মাস্টার। বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করার পর বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেন তিনি।

ফিরোজ কামাল গাজী বা বাবু মাস্টার একসময় সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক পালাবদল ঘটার পর নাম লেখান তিনি ঘাসফুল শিবিরে। এরপর হাসনাবাদ জেলা পরিষদের শিক্ষা, ক্রীড়া, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ করা হয় তাঁকে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেবার দিনে তিনিও যোগদান করেন বিজেপিতে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিল।

বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপির হয়ে প্রচারেও নেমেছিলেন তিনি। তারপর, প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছিল তাঁর উপরে। কিন্তু ভোটের পর থেকেই তিনি নীরব হয়ে যান। ভোটের পর থেকে দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি তাঁকে। তখন থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা চলছিল। আজ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দিলেন তিনি। তবে এখনও তিনি তৃণমূলে যোগদান করেননি। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। যা থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, তাঁর তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

আজ ফিরোজ কামাল গাজী জানিয়েছেন যে, তাঁর বিজেপিতে যাওয়া ছিল একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। মতাদর্শ না মেলায় বিধানসভা ভোটের সময় তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে, দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানালেন, কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। আজ থেকে তিনি বিজেপি ছেড়ে দিলেন। বিজেপির কোন সিদ্ধান্তই তাঁর ভাল লাগেনি। বসিরহাট একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। কিন্তু এখানে বিধানসভা ভোটে একজন সংখ্যালঘুকেও প্রার্থী করা হয়নি। তাই জীবদ্দশায় থাকতে আর তিনি বিজেপি করবেন না।