এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিবিআইয়ের ওপরেও দাদাগিরি! মগের মুলুক পেয়েছেন যুবরাজ? চাঁচাছোলা আক্রমণ বিরোধীদের!

সিবিআইয়ের ওপরেও দাদাগিরি! মগের মুলুক পেয়েছেন যুবরাজ? চাঁচাছোলা আক্রমণ বিরোধীদের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তিনি নিজেকে দাবি করেন, তিনি নাকি সততার প্রতীক। এক পয়সা দুর্নীতির সঙ্গে নাকি তিনি জড়িত নন। কিন্তু সেই যুবরাজ আবার রক্ষাকবচ নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হন। এমন একটা ভাব যেন তিনি সবকিছু করতে পারেন। দেশের আইনকে কার্যত কিনে ফেলেছেন। কিন্তু সেই যুবরাজ ভুলে গিয়েছেন, বিরোধী আমলের রাজনীতি তাকে করতে হয়নি। তার সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তারপর তিনি সেই দলের নেতা হয়েছেন। আর আজকে পুলিশকে ব্যবহার করে তিনি যা ইচ্ছে তাই পশ্চিমবঙ্গে করছেন। তবে পুলিশকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু সিবিআইয়ের ওপরে তিনি অন্তত দাদাগিরি ফলাতে আসবেন না। আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতার একটি মন্তব্যের পর কটাক্ষ করে এই সমস্ত কিছুই বলছেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজভবনের সামনে যে ধর্ণার নাটক করছিলেন যুবরাজ, সেখান থেকে অনেক বড় বড় কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা তার কাছে বরাবরই অপছন্দের বিষয়। অবশ্য কেনই বা এসব তার পছন্দ হবে! কারণ তাকে তো প্রতিমুহূর্তে ডাকছে তারা। তাই তিনি যে কোনো মুহূর্তে ফেঁসে যেতে পারেন, এটা ভেবে নিয়েছেন। ফলে সেই কেন্দ্রীয় সংস্থা তার কাছে দু চোখের বিষ হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে এই সমস্ত কিছু পরের কথা। এদিন সেই ধর্ণা মঞ্চ থেকে বড় বড় গলায় দাবি করেছেন, তিনি সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে রাজি হবেন, যদি সিবিআই যে কোনো তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করে মানুষকে তার টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেন। এমন একটা ভাব যেন, তিনি সিবিআইয়ের হেডকর্তা, তার কথা মতোই চলতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে!

বিরোধী শিবিরের দাবি, সবটাই তো যুবরাজের মগের মুলক। তিনি ভাবছেন, রাজ্য পুলিশ তো তার কথামতো চলে। তার কথা মতই ওঠে, তার কথা মতই বসে, তাহলে কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি তার কথামত চলবে না? তাই তিনি এবার সিবিআইয়ের ওপরেও শর্ত ফলাতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসব করে যুবরাজ যতই চালাকি করুন, তার চালাকি বাংলার মানুষ ধরে ফেলেছেন। সকলের কাছে আজকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তিনি দুর্নীতি করেছেন। তাই সেই দুর্নীতির জালে তিনি যখন ধীরে ধীরে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছেন, তখন বাঁচতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপরেও মাতব্বরির চেষ্টা করছেন সর্বভারতীয় ভাইপো। কিন্তু এসব করে তিনি ইস্যুকে ঘুরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু দোষ করলে সাজা তাকে পেতেই হবে।দিনের শেষে আইন আইনের পথেই চলবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তো তদন্ত করতে রাজি। তারা তো তদন্ত করছেও। কিন্তু কথায় কথায় তারা যখন জেরার জন্য ডাকছে, তখন সেখানে না গিয়ে সেই তদন্তকে আরও কেন ডিলে করে দিচ্ছেন এই সর্বভারতীয় ভাইপো? তিনি যদি তদন্তেই সহযোগিতা করেন, তাহলে তাকে বা তার দলের অন্যান্য নেতারা যাদের ডাকা হচ্ছে, তারা যদি ঠিকমত যান, তাহলে তো তদন্তে দেরি হয় না। কিন্তু তা না করে তারা বারবার আদালতে যাবেন, কেন তাদেরকে ডাকা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। আর তখন তদন্ত দেরি হলে এত বড় বড় কথা বলবেন! আসলে  ভাইপো ভয় পেয়েছেন। তাই সিবিআইয়ের ওপর মাতব্বরি ফলিয়ে নিজের কর্তৃত্ব সব জায়গায় বজায় রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু সব জায়গায় এই মাতব্বরি চলবে না। রাজ্যটাকে তো মগের মুলক বানিয়ে ছেড়েছেন। কিন্তু দেশে আইন কানুন বলে একটা জিনিস রয়েছে। তাই সিবিআই কিভাবে তদন্ত করবে, তা নিয়ে যুবরাজকে অন্তত নির্দেশ দিতে হবে না। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করুন। তাহলেই দ্রুত তদন্ত শেষ হবে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!