কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এবারের নির্বাচন কি স্বচ্ছ হতে চলেছে, জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে কলকাতা রাজ্য March 30, 2019 বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দৌলতে গোটা গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রহসনে পরিণত হয়েছে বলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে সেই অবস্থার আর কোনোরূপ পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে বারেবারেই রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আবেদন জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো। আর বিরোধীদের সেই অভিযোগকে কিছুটা হলেও সীলমোহর দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই সেই নির্বাচন করার কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীও পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করছে, ঠিক তখনই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। আর এর পেছনে বিজেপি রয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে নাচতে না পারলে উঠোন বাঁকা বলে পাল্টা রাজ্যের শাসক দল ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যখন রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই সাধারণ মানুষ সহ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে একটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা খাচ্ছে যে, তাহলে কি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে, কথায় আছে কর্তার ইচ্ছাতেই কর্ম হয়। তাই একদিকে বাংলার জনসাধারনের এই নির্বাচনী উৎসবে সঠিক ভাবে ভোটদান করার ইচ্ছা এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কঠোর নজরদারি – এই দুই যদি শক্তিশালী ভাবে এগিয়ে যায় তাহলে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি তো দূরঅস্ত, বাংলায় ভোট উৎসব বলতে যা বোঝায় সেটাই বাস্তবে এক প্রকৃত উৎসবের রূপ নেবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। তবে ভবিষ্যতে কি হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারে না কেউই। তাই এখন থেকেই হিংসা ও সন্ত্রাসকে দূরে রাখার কামনায় সকলের একটাই প্রার্থনা, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার কঠোর বলয়ে দাঁড়িয়ে যেন সাধারণ মানুষ তাদের সঠিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আপনার মতামত জানান -