টাকা খরচ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী সহ কলকাতার দাপুটে মন্ত্রীরা, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির রাজ্য March 27, 2018 কলকাতা পুরসভা এলাকার উন্নয়ন কতটা এগিয়েছে এবং এই খাতে ঠিক কত টাকা বিধায়ক তহবিল থেকে খরচ হয়েছে তা যাচাই করতে সিপিএম বিধায়ক খোঁজেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিধানসভার বিআইইউপি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ মোট ৬ জন এদিন পুরসভায় যান। এদিন দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের দিকে তীর ছুঁড়ে দাবি করেন, ”মুখ্যমন্ত্রী-সহ কয়েকজন মন্ত্রীর বিধায়ক তহবিলের টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাধন পাণ্ডেদের নামও রয়েছে।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এর পাল্টা উত্তরে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফারহা হাকিম বলেন, ”এলাকার প্রয়োজনে আমরা টাকা দিই। বরাদ্দ সবটাই উন্নয়নের কাজে খরচ হয়। পড়ে থাকে না। দিলীপবাবুদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।” পুরসভা সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতি বছর এলাকার উন্নয়নের জন্য বিধায়ক তহবিলে ৬০ লক্ষ টাকা করে জমা পরে। এর মধ্যে ৩০ লক্ষ টাকা বিধায়ক হওয়ার পরই জমা পরে। এর ৩০ শতাংশ খরচের হিসাব জমা দেওয়ার পর বাকি কিস্তির টাকা আসে। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক তহবিলে জমা পড়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। জানা গেছে পার্থবাবু, সুব্রতবাবু, সাধনবাবুদের তহবিলে জমা পড়েছে ৩০ হাজার টাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পার্থবাবু বলেন, ”জানি তো, সব টাকা খরচ হয়নি। আমি স্কুল ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে মূলত টাকা দিই। এর মধ্যেই কি সব টাকা খরচ করে ফেলা সম্ভব?” সুব্রতবাবুর কথায়, ”টাকা খরচের সময় তো শেষ হয়ে যায়নি। আমি জানি কোথায় কখন কী ভাবে টাকা খরচ করতে হয়।” সাধন বাবু এবিষয়ে বলেন, ”আমি খুচরো খুচরো করে টাকা খরচ করি না। এলাকার মানুষের জন্য সুইমিং পুল, ছাত্রাবাসের মতো স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করি। পাঁচ বছর শেষ হলে দেখা যাবে টাকা শেষ।” আপনার মতামত জানান -