এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বড়সড় ফাঁড়া কাটল মুখ্যমন্ত্রীর! স্বস্তির নিঃশ্বাস শাসক শিবিরে!

করোনা আবহে বড়সড় ফাঁড়া কাটল মুখ্যমন্ত্রীর! স্বস্তির নিঃশ্বাস শাসক শিবিরে!


করোনা ভাইরাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং অনেক রাজনৈতিক দল তাদের কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাসের জন্য বর্তমানে সমস্ত নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে প্রথম থেকেই বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বস্তুত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্র বিধানসভার কোনো কক্ষেরই সদস্য ছিলেন না।

কিন্তু তা সত্ত্বেও 2019 সালের 28 নভেম্বর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। আর সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে তার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে 28 মের মধ্যে বিধানসভার সদস্য হতে হত। ইতিমধ্যে উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার 6 মাস পেরিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় তাকে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে বলেই দাবি জানিয়েছিল একাংশ। এমনকি বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে রণনীতি নেওয়া হয়েছিল।

তবে বিরোধীদের সেই কৌশল ধোপে টিকল না। সূত্রের খবর, এবার বিধান পরিষদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের মত বিপদজনক পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে যখন সমস্যা তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্যের আবেদন চেয়ে তাকে ফোন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে থাকা নয়টি আসনে ভোট চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। আর সেই মতই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে 21 মে এই বিধান পরিষদের নয়টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। তবে এই নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে তেমন ভাবে কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে গেলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

শুধু তাই নয়, তার মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে আর কোনো সংশয় রইল না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এর ফলে উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদে সংশয়তা নিয়ে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে যে কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাও অনেকটা বৃথা হয়ে গেল। তাছাড়া বিধান পরিষদে নির্বাচনের জন্য ৯ টি আসন খালি থাকলেও, কংগ্রেস গোঁ ধরে বেশি প্রার্থী দিয়েছিল – ফলে নির্বাচন আসন্ন হয়ে পড়েছিল।

কিন্তু, শেষপর্যন্ত জোট শরিকদের চাপে কংগ্রেস প্রার্থী প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতেন উদ্ধব ঠাকরে। আর তারফলেই করোনা আবহে বড়সড় ফাঁড়া কাটল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর! অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস শাসক শিবিরে! কেননা এই করোনা আবহে নির্বাচন চাইছিলেন না খোদ উদ্ধব ঠাকরে – কিন্তু তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা জোর করে অতিরিক্ত প্রার্থী দেন। যার ফলে চূড়ান্ত সংশয় তৈরী হয় জোটের মধ্যেই। কিন্তু, শেষে কংগ্রেসের এক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেই সব সমস্যার সমাধান হয় – কুর্শি বেঁচে যায় উদ্ধব ঠাকরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!