এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘‌অপারেশন লোটাস’‌ ব্যর্থ হলেও কর্নাটকে নিশ্চিন্ত নেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট, যে কোন মুহূর্তে পড়তে পারে সরকার

‘‌অপারেশন লোটাস’‌ ব্যর্থ হলেও কর্নাটকে নিশ্চিন্ত নেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট, যে কোন মুহূর্তে পড়তে পারে সরকার


সম্প্রতি ‘অপারেশন লোটাস’‌ সাড়া ফেলেছিল কর্নাটকের রাজনৈতিকমহলে। দক্ষিণের এই রাজ্যে পাঁচজন কংগ্রেসের নিখোঁজ বিধায়কদের নিয়ে উদ্বেগে ছিল কংগ্রেস-জেডিএস শিবির। তারউপর চাপ বাড়িয়ে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা ডি কে শিবকুমার প্রকাশ্যে বলেছিলেন কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলে দেবার জন্য ‘অপারেশন লোটাস’ অপারেশন চালাচ্ছে বিজেপি। তারপর থেকে পাঁচ বিধায়কের খোঁজ খোঁজ রব শুরু হয় কুমারস্বামী সরকারের তরফ থেকে। জল্পনা শুরু হয় তবে কি কর্নাটকের জোট সরকার পতনের আসন্ন?

মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ সংক্রান্ত কোনো বিতর্ককেই গ্রাহ্য করেননি। সটান জানিয়ে দিয়েছিলেন,কর্নাটকের জোট সরকার পোক্ত আছে। পতনের কোনো সম্ভাবনা নেই। মুখে আত্মবিশ্বাস দেখালেও তলে তলে যে উৎকন্ঠায় দিন কাটছিল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করেনি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ওদিকে,নিখোঁজ বিধায়কদের খবর পাওয়ার পরই সংগঠনকে পোক্ত রাখতে বেঙ্গালুরুতে দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিষদীয় বৈঠকে সমস্ত বিধায়কদের হাজিরা চেয়েছে কংগ্রেস। বৈঠকে উপস্থিত না হলে বিধায়ক পদ থেকে ছাঁটাই করার কড়া হুঁসিয়ারীও দেওয়া হয়েছে বলে খবর রয়েছে।

কর্নাটক কংগ্রেসের এই কড়া বার্তার পরই দলকে স্বস্তি দিয়ে ঘরে ফিরেছিল দু জন বিধায়ক। ‘অপরেশান লোটাস’ ব্যর্থ হয়েছে এমন কথা চাউর হতেই ফের কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগল তিন বিধায়ক এখনো নিখোঁজ থাকায়। এ প্রসঙ্গে কর্ণাটক কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, বিজেপি এখানে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা চালাচ্ছে, যদিও সফল হবেনা। কর্ণাটকের বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক সম্প্রতি ওই তিন কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে মুম্বাইতে দেখা করতে গিয়েছে। এটা অজানা নেই কংগ্রেসের। তবে কত টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে এটা এখনো জানা যায়নি। তবে অপরেশান জারি রয়েছে।

সূত্রের খবর,মুম্বাই হোটেলে থাকা রমেশ জারকিহোলি সহ বিক্ষুব্ধ তিন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে এদিন সকালেই বৈঠক করেছেন বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় রামচন্দ্র পাটিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর মন্ত্রীসভাকে জায়গা না পেয়েই প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন রমেশ। তাকে ঘরে ফেরানোর জন্যে তাঁর ভাই এবং কুমারস্বামীর মন্ত্রীসভার সদস্য সতীশ জারকিহোলিকে দিয়ে ফোন করিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে সি্দ্দারামাইয়া। তবে তাতে কাজ হয়নি কিন্তু।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কংগ্রেসের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে গতকাল থেকে দলের সঙ্গে আর যোগাযোগই রাখছেন না তিনি। অন্য এক ‘নিখোঁজ’ বিধায়ক বি নগেন্দ্র যদিও খুব স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন,কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে নয়,ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজেই কাজেই মুম্বাইতে রয়েছেন তিনি। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা যেমন মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে আছেন তেমনি গুরুগ্রামের একটি নামীদামী হোটেলে আস্তানা গেড়েছেন বিজেপির ১০৪ জন বিধায়ক। ‘অপারেশন লোটাস’ আপাতত ব্যর্থ হলেও কংগ্রেসের সমর্থনে শেষ পর্যন্ত কতজন বিধায়ক থাকেন তা দেখতেই এখনো পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন তাঁরা,এমনটাই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত,গত সপ্তাহেই দুজন নির্দল বিধায়ক কর্ণাটকের জোট সরকারের উপর থেকপ সমর্থন তুলে নেন। যদিও পরিসংখ্যানের নিরিখে কুমারস্বামী সরকার পড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি এখনো। তবে এরপর থেকেই কর্নাটকের জোট সরকারের পতন ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। এক্ষেত্রে কংগ্রেস-জেডিএসের ১২ থেকে ১৫ জন বিধায়কের আশ্বাসও পেয়েছিল বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত কর্নাটকের জোট সরকারের ঘর ভাঙার চেষ্টা বিফলেই গেল বিজেপির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!