এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে প্রচারে জোর দিতে সরকারী প্রকল্পই ভরসা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের

করোনা আবহে প্রচারে জোর দিতে সরকারী প্রকল্পই ভরসা তৃণমূল নেতা নেত্রীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যে ভয়াবহ রূপে দেখা দিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়াভাবে লকডাউন পালন হচ্ছে। তবে করোনা থাকলেও পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হচ্ছে ব্যাপক তৎপরতা। এই অবস্থায় বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে একটি দলীয় বৈঠক করেন।

আর সেই বৈঠকে দলের বিধায়কদের প্রতি রাজ্যজুড়ে দলীয় কাজকর্ম পালন হচ্ছেনা বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলনেত্রীই মমতা ব্যানার্জী। উপরন্তু তৃণমূল নেত্রী বিজেপি শিবিরের কর্মকান্ড দেখে রাজ্যের বিধায়কদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলেও জানা গেছে। আর তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রী বিধায়করা একযোগে দলীয় কার্যকলাপে নেমেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গত শনিবার থেকে তিনদিন ব্যাপী সরকারি উন্নয়ন নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।

শুধু তাই নয়, বিরোধী শিবির বিজেপির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আপাতত তিন দিনের এই কর্মসূচি শেষে আগামী একুশে জুলাই তৃণমূলের তরফ থেকে শহীদ দিবস পালন হবে ব্লকে ব্লকে বলে জানা গেছে। এবং সেরকমই একটি ব্লকে দুপুর দুটোয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন বলে ঠিক আছে এখনো অব্দি। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই বক্তব্য সবার কাছেই পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত শনিবার রাজ্যের সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল দলীয় ভিত্তিতে।

প্রতিটি বুথে যেসব প্রকল্প চালু হয়েছে, যেমন- কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজ সাথী, জল ধরো জল ভরো, কিষান ক্রেডিট কার্ড, 100 দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পগুলির ভিত্তিতে ব্যানার করে বিভিন্ন ব্লকে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় অবশ্য তৃণমূল নেতারা এই কাজের ভিত্তিতে বক্তব্য রাখেন বলেও খবর। অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কার্যাবলী এবং তার সাথেই তাঁরা বক্তব্য রেখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেক তৃণমূল নেতা তাঁদের বক্তব্যে বলেছেন, 2011 পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কোন আর্থিক সাহায্য করেনি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের কাছে 53 হাজার কোটি টাকা বকেয়া রাজ্যের তাও মেটায়নি কেন্দ্র বলে দাবী করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যেও তৃণমূল সরকার যেভাবে রাজ্যের উন্নতি করে চলেছে সে কথাও তুলে ধরেন তাঁরা। সে প্রসঙ্গে এসেছে মিড ডে মিল এর কথা। করোনা আবহের মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকা সত্বেও মিড ডে মিলের খাবার যে পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছানো হচ্ছে সে কথা উল্লেখ করা হয়।

উপরন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন খাদ্যসাথী প্রকল্পের হাত ধরে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত চাল দেওয়া হবে। সে কথা এদিন নিজেদের বক্তব্যে তুলে ধরেন তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে বর্তমানে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান করা হয়েছে সরকারি তরফে, সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে গ্রামে জলস্বপ্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামের প্রতিটি পরিবারে পরিস্রুত পানীয় জল যে পৌঁছে যাবে সে কথাও জানান তাঁরা।

অন্যদিকে দলীয় কার্যকলাপ সম্পন্ন করতে এ সপ্তাহের শুরুতেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সহ বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা জায়গায় জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত চিন্তিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ভোটের বাজারে যে মার খাবে তৃণমূল সেকথা এককথায় মেনে নিচ্ছেন সবাই। পাল্টা তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিরোধী শিবির।

প্রতিনিয়ত তাঁদের আক্রমণ বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে কিছুটা পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে আবার রাজনৈতিক ফ্রন্টফুটে আসার জন্য এবং অবশ্যই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আপাতত তৃণমূল সরকার রাজ্যের উন্নয়ন হেতু প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার সেরে রাখছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে দুর্নীতি নিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়তে হয়। অবস্থা আয়ত্তে আনতে এই মুহূর্তে রাজ্য প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তৃণমূল সরকার যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়েছে সে কথা চোখ বন্ধ করে বলা যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!