এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফ্রিতে রেশন কি বিশ বাঁও জলে? কেন্দ্র-রাজ্য সহায় হলেও সমস্যা কোথায়?

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফ্রিতে রেশন কি বিশ বাঁও জলে? কেন্দ্র-রাজ্য সহায় হলেও সমস্যা কোথায়?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় এক বছর আগেকার তিক্ত স্মৃতি আবার ফিরে এসেছে গোটা দেশজুড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে রীতিমত হাহাকার শুরু হয়েছে জনতা জনার্দনের মধ্যে। গৃহবন্দি হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যে তৈরি হয়েছে লকডাউনের পরিস্থিতি। আর এই অবস্থায় এক বছর আগে যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল, তখন যেভাবে রেশনের মধ্যে দিয়ে মানুষকে সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল, সেই একই ব্যবস্থা যদি বর্তমানে চালু করা না যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের রুজি-রুটি কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে।
তবে কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার, এই ব্যাপারে আন্তরিক হলেও, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে চালু হল না কেন্দ্রের বিনামূল্যের রেশন প্রক্রিয়া। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠিক কোথায় বাধা রয়েছে? যার কারণে এখনও পর্যন্ত রেশনের সুবিধা মানুষকে দেওয়া যাচ্ছে না? বস্তুত, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন করে এই প্রকল্প চালু করা হয়। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়ে গেছে। কিন্তু বরাদ্দ অনুযায়ী ধান না কেনার কারণে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প চালু হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা।
রেশন ডিলারদের একাংশ অবশ্য বলছেন, রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হতেই কেন্দ্রীয় সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ চাল কেনার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ রেশন ডিলারদের অনেকেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “কেন্দ্রের বরাদ্দ অনুযায়ী বিনামূল্যে রাজ্যের জন্য রেশনের চাল পাঠানোর কাজ ফুড কর্পোরেশন শুরু করেনি। যতটুকু খবর মিলেছে, তাতে এখনও চাল কিনতে পারেনি তারা। তার সঙ্গে করোনা হয়ে অনেকে গৃহবন্দি হয়েছেন। কাজের দেখভাল করার লোক নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
 অন্যদিকে এই ব্যাপারে রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “এফসিআইয়ের চাল কেনা নিয়ে আগে থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা মৌখিকভাবে বলেছি। আমরা আর কদিন দেখে খাদ্যমন্ত্রকের কাছে পরিস্থিতি জানাব।” স্বাভাবিক ভাবেই এই সমস্ত সমস্যার কারণে এখন কি মানুষের কাছে মূল পরিষেবা পৌঁছতে দেরি হবে? এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার মধ্যে মানুষ এমনিতেই গৃহবন্দি হয়ে যেতে শুরু করেছে। চলছে লকডাউনের মত পরিস্থিতি। তাই তার মধ্যে যদি রাজ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে রেশন প্রক্রিয়া চালু করা না যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন কিভাবে পাবেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে যারা সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অনেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে পরিষেবা ঠিকমত দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে কাজে ঢিলেমির অভিযোগে বিস্তর দেরি হতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বর্তমান সঙ্কটজনক মুহূর্তে মানুষের কাছে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সকলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার দুজনের আন্তরিক ইচ্ছা থাকলেও, রফাসূত্র কবে খোলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!