বিশ্বজুড়ে নয়া আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। তার জেরেই আপাতত সারাবিশ্ব থমকে গেছে আতংকে। দু’শোর বেশি দেশে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে করোনা ভাইরাস। তার মধ্যেই বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা, চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে মরণপণ লড়াই করছেন। করোনা ভাইরাস যেভাবে সংক্রামক আকার ধারণ করে নিত্যদিন মানবজাতি নিধনে নেমেছে, তা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা এবং গবেষকরা বিভিন্নভাবে জনসাধারণকে সচেতন হতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

তবে তার মধ্যেই মারণ ভাইরাস করোনার নতুন নতুন লক্ষণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা হয়ে পড়েছেন চিন্তিত। করোনা ভাইরাসের বাড়াবাড়ি পরিস্থিতির মধ্যেই চমকে দেওয়ার মতন নতুন আরেকটি তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে। যার ফলে বিজ্ঞানীদের চিন্তা আরো প্রবল হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে। সম্প্রতি বৃটেনের জনপ্রিয় ‘দ্য সান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় একটি খবর। এই খবরে জানা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর শরীরে দেখা দিচ্ছে নতুন কিছু উপসর্গ।

আর আর এই নতুন উপসর্গই বিজ্ঞানীদের চিন্তাভাবনার ধারা অন্য খাতে বইতে বাধ্য করছে। জনপ্রিয় সান পত্রিকার খবর অনুযায়ী জানা গেছে, লন্ডনে বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত তাঁদের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁদের শরীরের ভিতর অন্যরকম উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। বেশিরভাগ করোনা আক্রান্ত মানুষ জানাচ্ছেন, বুকের কাছে ত্বকের নিচে শরীরের ভিতরে যেন বরফ ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। অবশ হয়ে যাচ্ছে সারা শরীর।

প্রথমদিকে অবশ্য চিকিৎসকরা রোগীদের এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি। কিন্তু পরবর্তীতে করোনা লক্ষণ সংক্রান্ত এইধরনের একাধিক মন্তব্য আসতে দেখেই লন্ডনের চিকিৎসকদের মাথায় চিন্তার বোঝা দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।। এই নিয়ে বিশদ আলোচনা চলছে স্বাস্থ্য মহলে। সূত্রের খবর, বহু রোগী সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মিডিয়াতেও তাঁদের এই উপসর্গের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিশদভাবে আলোচনায় বসেছেন।

কেন এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। এতদিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের লক্ষণগুলি ছিল সাধারণ জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। কিন্তু নতুনভাবে করোনার এই লক্ষণগুলি সামনে আসায় বিজ্ঞানীরা আতান্তরে পড়েছেন এর কারণ খুঁজতে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও বহু আগেই বলা হয়েছিল, করোনা মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেদের জিনগত পরিবর্তন ঘটায়। তাই নতুন কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা করোনা জীবাণুর মধ্যে সে নিয়েই এখন পরীক্ষাগারে ব্যস্ত বিশ্ববিজ্ঞানীরা।