এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল বিতর্কে ঘি ঢেলে নজিরবিহীনভাবে এবার বড়সড় দাবি হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের

রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল বিতর্কে ঘি ঢেলে নজিরবিহীনভাবে এবার বড়সড় দাবি হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের


করোনা মোকাবিলায় এমনিতেই সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ‌ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এমতাবস্তায় করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের দুর্বলতা নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছেন তিনি। আর এমতাবস্থায় রাজ্যপালকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে লকডাউন করে রাখা হোক বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে টুইট করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই রেশনে দুর্নীতি থেকে শুরু করে করোনা টেস্ট, নানা বিষয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একগুচ্ছ চিঠি লিখেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। পাল্টা গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে একটি চিঠি লেখেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যপালের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন যে, শুক্রবার এর জবাব তিনি দেবেন।

সেই মত শুক্রবার 14 পাতার চিঠি লিখে 37 টি পয়েন্ট সেখানে তুলে ধরেন জগদীপ ধনকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়ে বিরোধীরা যে মুসলিম তোষণের অভিযোগ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, সেই একই মুসলিম তোষনের অভিযোগ করেন রাজ্যের রাজ্যপাল‌। আর রাজ্যপালের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে 14 পাতার এই চিঠিকে কেন্দ্র করে এখন চরমে উঠেছে রাজনৈতিক শোরগোল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজ্যপাল সঠিক কাজ করেছেন। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যের উপর নজরদারি তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই তিনি রাজ্যকে শুধরে দিচ্ছেন। তবে রাজ্যপাল এবং রাজ্যের এই পত্রযুদ্ধে যখন চরমে, ঠিক তখনই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে সেই রাজ্যপালকে নিয়ে বিস্ফোরক আবেদন করলেন কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করে মহুয়াদেবী বলেন, “এখন একটা মহামারীর সঙ্গে লড়াই চলছে। এই সময়ে রাজভবনকে খুশি করার সময় নেই রাজ্যের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন, রাজ্যপালকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে লকডাউন করে রাখুন। তাহলে রাজ্যের উপকার হয়।” তবে রাজ্যপালের বিরোধিতা নিয়ে মহুয়াদেবী বা তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা যতই যা বলুন না কেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে লকডাউন করে রাখার এই কথা আদৌ একজন তৃণমূল সাংসদ বলতে পারেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, অতীতে দেখা গেছে, অনেক রাজ্যপালের সঙ্গে অনেক রাজ্য সরকারের মতানৈক্য হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি সত্যিই কোনো রাজ্যে কখনও এসেছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না কেউ। বস্তুত, যখন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এবং সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে তরজা নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলবে, তা তো বলাই যায়। আর এমন পরিস্থিতিতে আগুনের মধ্যে ঘি ঢেলে দিয়ে যেভাবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র রাজ্যপালকে লকডাউন করার কথা বলে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদিকে আবেদন জানালেন, তা সত্যিই এক কথায় নজিরবিহীন বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!