প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটি সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ এমন সম্পর্ক দেখা যায় যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মেলবন্ধন ঘটে না। অনেক সময় সেক্ষেত্রে বিবাহের ধরনকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অনেকে মনে করেন, লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া অনেক ভালো থাকে যে কারণে বিবাহ পরবর্তী জীবন অনেক সুখের হয়।

আবার অনেকে মনে করেন অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের মধ্যে দিয়ে দু’জন দু’জনকে বিবাহ পরবর্তীকালে চিনে নেওয়ার বা বুঝে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া তা অনেক বেশি আনন্দময়। তবে বলতে গেলে বিশেষজ্ঞদের মতে এইদুই ক্ষেত্রেই সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তাই বস্তুত বিবাহের ধরনের ওপর স্বামী বা স্ত্রীর বৈবাহিক জীবনের অশান্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে না বলেই মনে করা হয়।

তবে সেক্ষেত্রে আপনি যে বাড়িতে রয়েছেন, বা আপনাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ধরন আপনাদের জীবনের সুখ-শান্তির ওপর প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রথমত এক্ষেত্রে উঠে আসে আপনার গৃহের অবস্থানের কথা। সেক্ষেত্রে আপনার যদি কোন রকমের বাস্তু দোষ থাকে তবে তা আপনাদের বৈবাহিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

দ্বিতীয়ত এরপরে যে কথাটি আসে সেটা হচ্ছে আপনার গৃহে আপনাদের শোবার ঘরের অবস্থান। এক্ষেত্রে যদি আপনাদের শোবার ঘরটি হয় পূর্ব দিকে বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে, তবে তা আপনার জীবনের সুখ-শান্তি নিয়ে আসে বলেই মনে করেন অনেকে।

তৃতীয়ত বলা হয়, কখনোই কোনো স্ত্রীর স্বামীর দিকে পিছন ফিরে শোয়া উচিত নয়। এছাড়া স্ত্রীর স্বামীর বাম দিকে ফিরে শুলেও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো হয় বলেও মনে করছেন অনেকে।

চতুর্থত অনেকের মতে, বাড়িতে কখনো ঝাঁটা বা কোন ধারালো জিনিস যেমন বটি বা ছুরি এগুলিকে স্বামীর চোখের সামনে রাখতে নেই। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের একটা নেগেটিভ এনার্জি সঞ্চার হয় বলেই মনে করেন অনেক জ্যোতিষবিদ।

পঞ্চমত আপনাদের খাটের অবস্থান যদি দক্ষিণ বা দক্ষিণ পূর্ব দিকে হয় বা আপনারা যদি দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে ছাড়া অন্য দিকে মাথা করে ঘুমোন তাহলেও আপনাদের জীবনে সমস্যা বা অশান্তি অনিবার্য বলেই মনে করেন অনেক জ্যোতিষবিদ। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বামীর সঙ্গেই স্ত্রীর ঝগড়া নয়, পরিবারের সকলের সঙ্গেই ঝগড়া অশান্তির সম্পর্ক তৈরি হতে পারে বলেও জানা গেছে।

ষষ্ঠত স্বামী স্ত্রীর ঘরে যদি আলো-বাতাস না খেলে বা ঘরে যদি একটা বদ্ধ পরিবেশ তৈরি হয়, তবে সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয় বলেও জানিয়েছেন অনেক বাস্তুবিদ। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত ঘন্টাখানেক সমস্ত জানলা দরজা খুলে বাইরের হাওয়া বাতাস ঘরের মধ্যে প্রবেশ করানো প্রয়োজন বলেও মনে করছেন অনেকে।