প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে সকল ধর্মের মানুষের বাস। সবাই চায়, নিজের দেশ ভালো থাকুক। দেশের মানুষ ভালো থাকুক। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই যখন একজন মানুষ কাজ করছেন, তখন তাকে তো সকলে সমর্থন করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর বিরোধিতা করতে গিয়ে কিছু কিছু দল এমন সব আচরণ করছে, যাতে মনে হচ্ছে, তারা যেন দেশটাকে বিপদের মুখে ফেলে দিতে চায়। দেশের নায়ক হিসেবে, দেশের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শত বিপদের মধ্যেও আমাদের সকলকে আগলে রাখছেন, এটাই তো ভারতবাসী হিসেবে আমাদের সকলের গর্ববোধ করার মত বিষয়। তবে সব জায়গাতেই কিছু কুচুটে, কিছু বিরোধিতা করার মত লোকজন থাকে। ভারতবর্ষের মাটিতেও আছে। তাই তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের স্বার্থে মানুষ কাকে সমর্থন করবে, তা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন রানাঘাটের একটি সভায় উপস্থিত হয়ে বিরোধীদের এক হাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোনো রাজনৈতিক কারণ নয়, মানুষের স্বার্থেই কেন সবাই বিজেপিকে সমর্থন করবেন, তার যুক্তি সহ বেশ কিছু তথ্য সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেই ইজরায়েল, গাঁজাতে কি হয়েছিল, তা সকলেই দেখেছেন। কেউ কি চায়, আমাদের দেশ সেটা হয়ে যাক! যদি না চান, তাহলে দেশের স্বার্থে সবাই মোদিজীকে সমর্থন করবেন।”

অর্থাৎ ভোট তো সবাই চায়। ভোট পেলেই প্রত্যেকটা নেতা-নেত্রীর রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে ভোট চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিকে সমর্থন করানোর পেছনে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই। দেশের স্বার্থের কথা তুলে ধরে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে দেশের মানুষের কথা সবার সামনে প্রকাশ করলেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, দেশকে রক্ষা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। তাই শক্তিশালী নেতার হাতে দেশকে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের কথায় বিচলিত না হয়ে যাতে সকলে বিজেপিকে সমর্থন করেন, প্রকৃত রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ হিসেবে নিজের কথার মধ্যে দিয়ে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের এখন যা অবস্থা, তাতে তারা ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছে। মাঝে খুব বেশি রব উঠেছিল, বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হবে, নাম দেওয়া হবে ইন্ডিয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু সেই জোটের এখন কি অবস্থা, সেটা সকলেই দেখতে পাচ্ছে। অন্যদিকে দেশকে রক্ষা করবার জন্য রাম মন্দির স্থাপন থেকে শুরু করে 370 ধারা বিলোপ থেকে শুরু করে তিন তালাক তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু কি তাই? সম্প্রতি সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যখন বর্হিশত্রুদের আক্রমণে জেরবার, তখন ভারতবর্ষ কিন্তু নিজের উন্নতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছু সম্ভব হচ্ছে প্রকৃত দেশ নায়কের জন্য। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে, নিজেদের সুরক্ষিত থাকার কথা চিন্তা করে কাকে ভোট দিলে ভবিষ্যৎ জীবন আরও সুখকর হবে, তা একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ সহকারে তুলে ধরে স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানেই বিরোধীরা বিজেপির কাছে দশ শুন্য গোল খেয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।