এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে মুখ ফস্কে ‘বেসামাল’ দিলীপ ঘোষ! তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে মুখ ফস্কে ‘বেসামাল’ দিলীপ ঘোষ! তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কুরসী থেকে হঠাতে সব বিরোধী দল এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করেছিল। আর সেই প্রচেষ্টাকে যিনি সবথেকে বেশি জোরালো করতে চেয়েছিলেন – তিনি হলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদিকে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মানেন না, যিনি নরেন্দ্র মোদির স্থানে নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন তাঁর সঙ্গেই তিনি গিয়ে বৈঠক করবেন।

কিন্তু, তৃণমূল নেত্রীর সব আশাকে ব্যর্থ করে, আবার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি ছুটতে হচ্ছে তাঁকে। তবে তিনি এমনি যাচ্ছেন না, তিনি নরেন্দ্র মোদির কাছে কাকুতি জানাতে যাচ্ছেন – রাজীব কুমারকে ছেড়ে দিন, আমার ভাই-ভাইপোদের ছেড়ে দিন। দরকার হলে যে টাকা নিয়েছি, সব ফেরত দেব! না, উপরের এই কথাগুলো আমাদের নয়। এই বক্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

আজ পুরুলিয়াতে রাষ্ট্রীয় একটা অভিযানের অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে, এইভাবেই স্বভাবসুলভ গরমাগরম বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলায় গেরুয়া শিবিরের প্রধান সেনাপতি। কিন্তু, সেই অনুষ্ঠানেই, একাধিকবার মুখ ফস্কে এমনভাবে ‘হড়কালেন’ তিনি, যে বিরোধী দল তৃণমূল তো বটেই রীতিমত হাসাহাসি শুরু হয়ে গেছে – তাঁর দলের সমর্থকদের মধ্যেই। প্রথমবার তিনি বিধানসভা জয়ে এটি মশগুল – যে ভুলেই গেলেন পুরুলিয়ায় আদতে কটি বিধানসভা আসন আছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ায় ‘সাতটি আসনের সাতটিই’ জেতার অঙ্গীকার করতেই, পাশ থেকে জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী ভুল ধরিয়ে দিলেন – আদতে হবে ৯ টি। যে রাজ্য সভাপতি বারেবারেই বিভিন্ন সভায় দাবি করে থাকেন, তিনি নাকি হাতে করে বাংলায় বিজেপির সংগঠন সাজিয়ে দিয়েছেন – তিনি পুরুলিয়ার মত বিজেপির-গড় যে জেলা, সেখানকার আসন সংখ্যায় জানেন না! দলীয় কর্মীদের এই নিয়ে ফিসফিসানি থামতে না থামতেই অবশ্য দিলীপবাবু ছাড়লেন মারাত্মক ব্রম্ভাস্ত্র!

যার ঘায়ে কিনা, তাঁর সঙ্গেই স্টেজ শেয়ার করা পুরুলিয়ার বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা বিজেপির দুই সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা ও কমলাকান্ত হাঁসদার – রীতিমত অস্বস্তিকর অবস্থা! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আজ ৬৯ তম জন্মদিন – স্বাভাবিকভাবেই সেই নিয়ে আবেগে ভাসছেন গোটা দেশের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুরুলিয়াতেও সেই আবেগকে উস্কে দিতে দিলীপবাবু তুললেন স্লোগান। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দলের সর্বোচ্চ নেতার জন্মদিনে স্লোগান তুললেন – নরেন্দ্র মোদি অমর রহে!

যা শুনেই, রীতিমত কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা মঞ্চে থাকা বিজেপি নেতাদের! দিলীপবাবু তখনও আবেগের বসে ‘অমর রহে’ চালিয়ে যাচ্ছেন! এরপর কোনোরকমে তাঁর হাত ধরে থামিয়ে সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ধরিয়ে দিলেন ভুলটা। দিলীপবাবু কোনোরকমে ‘নরেন্দ্র মোদি অমর রহে’ থেকে ‘নরেন্দ্র মোদি যুগ যুগ জিও’ বলে মুখ রক্ষা করার চেষ্টায় রইলেন। কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গেছে – এই নিয়ে স্পষ্টতই মুখ টিপে হাসাহাসি করতে দেখা যায় বিজেপির জেলা সভাপতি থেকে সাংসদকে। সবমিলিয়ে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনেই মুখ ফস্কে নিজের দলকেই তীব্র বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন স্বয়ং বিজেপি রাজ্য সভাপতিই!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!