এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দিলীপের হাত ধরে বিজেপিতে আসা দুই হেভিওয়েট ফিরলেন তৃণমূলে, জোর জল্পনা

দিলীপের হাত ধরে বিজেপিতে আসা দুই হেভিওয়েট ফিরলেন তৃণমূলে, জোর জল্পনা


2019 এর লোকসভা ভোটের পর থেকে দলবদলের প্রবণতা অনেক বেশি করে লক্ষ্য করা যায়। এই দলবদলের হাওয়ায় বিজেপির দিকেই সবার ঝোঁক বাড়ে। লোকসভা ভোটে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কোনরকমে নিজেদের গড় বাঁচিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে তারা অধিকার করেছিলেন মোট 22 টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি দল শুধুমাত্র সংগঠনের ওপর নির্ভর করে আসনসংখ্যা বাড়িয়েছিল 2 থেকে 18 য়।

লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল, বিশেষ করে শাসকদল থেকে, সেই প্রবণতার ফলে বহু পুরসভা, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যেতে শুরু করেছিল। তবে বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে প্রবণতা ছিল তাতে বেশ ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যেই আবার বিজেপি থেকে ঘরওয়াপসি শুরু হয়েছে তৃণমূলে। আর বিজেপি অধিকৃত পুরসভা পঞ্চায়েতগুলি আবার তৃণমূল হস্তগত করতে শুরু করেছে।

এবার ঘরওয়াপসি হলো দিনহাটায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানসহ দুই পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার তাঁরাই তৃণমূলে ফিরে এলেন।

লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। সেইসময় জেলা সফরে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিনহাটার পাঁচমাথা মোড়ে এক পথসভায় ওই পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা দলবদল করেন। বেশ কিছুদিন বিজেপির সাথে যুক্ত হবার পর তাঁরা আবার তাঁদের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন।

বৃহস্পতিবার দিনহাটা সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ঘরওয়াপসি করলেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান সহ দুই পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার জেলা পরিষদের সদস্য নুর আলম হোসেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, এদিন বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি বর্মন, পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন রায় ও দীনেশ চন্দ্র রায় তৃণমূল কংগ্রেসে আবার ফিরে এলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই যোগদান পর্বে জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য নুর আলম হোসেন জানালেন, বিজেপি হচ্ছে একটি সাম্প্রদায়িক দল। বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাঁরা। প্রধান সহ বাকি দুই সদস্যকে বিজেপি নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছিল। কিন্তু এই যোগদানকারীদের শুভবুদ্ধির উদয় হয় এবং তাঁরা আবার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে সামিল হতে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসে।

সূত্রের খবর, বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য হচ্ছে 14 জন। তার মধ্যে 10 জন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন বাকি চারজন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এবার পুনরায় চারজনের মধ্যে তিনজন তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের ভেটাগুড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য বিজেপি ছেড়ে ঘরওয়াপসি করেন তৃণমূলে। লোকসভা ভোটে জয়ের পর একের পর এক পঞ্চায়েত বিজেপির হাতে চলে যায়। কিন্তু বিজেপি তা ধরে রাখতে পারেনা। আবার কিছুদিন পরেই তা একে একে তৃণমূলের হাতে ফিরে আসছে।

লোকসভা ভোটের পর যে পরিমাণে সদস্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাতে একটা খুশির আবহ তৈরি হয়েছিল পদ্ম শিবিরে। কিন্তু বর্তমানে ঘরওয়াপসির জেরে বিজেপি সদস্য সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। যা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তান্বিত বিজেপি শিবির। এই নিয়ে ইতিমধ্যে দলের অন্দরে তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!