এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের দলের কর্মিসভায় অনুপস্থিত বিধায়ক, শুরু জল্পনার পারদ!

ফের দলের কর্মিসভায় অনুপস্থিত বিধায়ক, শুরু জল্পনার পারদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে দিন দিন আরো ভালো করে প্রকাশ্যে আসছে সে কথার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল বহুবার। বস্তুত, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল জনসাধারণের কাছে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে যথেষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার ঘটনাও ইতিমধ্যে সামনে এসেছিল।এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে দলের নির্বাচনী প্রচারে পিকের কথাও বলা হয়েছিল।

অনেকের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচারে তাঁর অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।তবে অন্যদিকে আবার সামনে এসেছিল বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই অসন্তোষ প্রকাশের কাহিনী। তাঁরা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না বলেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে এবার দলীয় কর্মী সভায় উপস্থিত না থাকতে দেখা গেছে চাপড়ার বিধায়ককে। যা নিয়ে আবারো জটিল হয়েছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কাহিনী।

বস্তুত, ঘটনার সূত্রপাত হয় অনেকদিন আগেই। চাপড়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জেবের শেখের সঙ্গে বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরোধ অনেক দিনের। আগে তা ঠান্ডা লড়াই থাকলেও জেলা নেতৃত্ব বদলের পর সেই বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়ে। আর তার জন্যই বিধায়কের পাশাপাশি কর্মিসভাও কার্যত বয়কট করতে দেখা গেছে বহু নেতাকর্মীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলত, চাপড়া ব্লক নেতৃত্ব গতকাল চাপড়ায় কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করলে, সেখানে জেলার নেতারা উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি একেবারে নীচের স্তরের কর্মীদের একটা বড় অংশকে। যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ অনেকের মোটেই বস্তুত, ভোট করাতে নীচের স্তরের নেতৃত্বই প্রয়োজন হয়। সেখানে বড় নেতারা না থাকলেও তাঁরা যদি সরে যান, তবে দল সমস্যায় পড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, রুকবানুর রহমানের ঘনিষ্ঠদের দাবি অনুযায়ী, এ দিন বিধায়কের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ১৭ জন সদস্য ও চার জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ৯৩ জন সদস্য কর্মিসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতি ও সংগঠনের একাধিক পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন না বলেই জানা গেছে। এই বিষয়ে চাপড়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, “কর্মিসভায় আমার যাওয়া উচিৎ ছিল।”

কিন্তু তাঁর মতে, চাপড়ায় দলের মধ্যে যে বিভাজন হয়ে আছে তাতে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, কোনও গোষ্ঠীর কোনও কর্মসূচিতেই তিনি যাবেন না। অন্যদিকে, রুকবানুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁকে প্রথম ফোন করে অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। তা-ও তা না-বলার মতোই।

সেইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি চিকিৎসার কারণেই যেতে পারছেন না। আগে জানতে পারলে ব্যবস্থা হয়তো করতে পারতেন। যদিও ব্লক সভাপতির কথায়, দলের সবাইকেই বলা হয়েছে। বিধায়ককে তিনি নিজে ফোন করে আসতে বলেছিলেন। তবে এবিষয়ে এখন কারা কী বলছেন সেটা তিনি জানেন না বলেই তাঁর দাবি। সেই সঙ্গে তাঁর মতে এখন দলের সকলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কূটনৈতিকদের মতে, তিনি যতই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি করুন না কেন, দলের কোন্দল সকলের প্রকাশ্যেই রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!