এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলগত নয়, এনআরসি নিয়ে ব্যক্তিগত মত শুভেন্দুর! বাংলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ!

দলগত নয়, এনআরসি নিয়ে ব্যক্তিগত মত শুভেন্দুর! বাংলা নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এনআরসি নিয়ে দীর্ঘ চর্চা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল থেকে শুরু করে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই এনআরসি করা উচিত নয় বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। যদিও বা বাংলার মাটিতে বারবার সেই এনআরসির পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। আর এই পরিস্থিতিতে যখন এনআরসি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে কেন্দ্রীয় সরকারের একাংশ বলছেন, তখন এনআরসির স্বপক্ষেই আওয়াজ তুলতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে এনআরসি না হলে বাংলা বাংলাদেশ টু বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি। স্বভাবতই শুভেন্দুবাবুর এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে এখন রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, এদিন বনগাঁয় ভারতীয় জনতা পার্টির একটি সভায় উপস্থিত হন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “দলের নয়, আমি ব্যক্তিগত মত হিসেবে বলতে পারি, বাংলায় এনআরসিটা দরকার। যোগী আদিত্যনাথ এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা যা করছেন, বাংলাতেও সেটা দরকার। এনআরসি হলে বাংলা আর বাংলাদেশ টু হতে পারবে না।” আর এখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এনআরসি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সেখানে কেন দলের বদলে নিজের ব্যক্তিগত মত এই এনআরসি নিয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এর আগেও একাধিক ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার বাংলা সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দুবাবু। এক্ষেত্রে এনআরসির স্বপক্ষেও বিভিন্ন সময়ে আওয়াজ তুলতে দেখা গেছে তাকে। সেদিক থেকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই এনআরসি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলেও, বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে এখানেও এনআরসি দরকার বলে আওয়াজ তুললেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা। অর্থাৎ তিনি এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাংলার পরিস্থিতি যে অত্যন্ত সংকটাপন্ন, সেই কথা বুঝিয়ে তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!