এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দুর্নীতিতে আপোস নয় বার্তা দিতেই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি শাসকদলের

দুর্নীতিতে আপোস নয় বার্তা দিতেই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি শাসকদলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সেই টাকা দেওয়ার বদলে নিজেরা তা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। বাড়ির কোনো ক্ষতি না হওয়া সত্বেও তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে তাদের ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সেই ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ঢুকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। আর বিরোধীদের এই অভিযোগ অনেক ক্ষেত্রে সত্যি হওয়ায় তৃণমূলের তরফে দলের নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল।

স্পষ্টভাষায় ভিডিও কনফারেন্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনোভাবেই ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। সম্প্রতি হুগলির চন্ডীতলার গরলগাছা পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক দেখে এই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে তৃণমূলের রাজ্য কমিটি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবকে ডেকে গোটা বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। আর এরপরই এই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে জেনে দলীয় প্রধানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। যার জেরে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের কাছে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

কেননা বার বার দলের পক্ষ থেকে যেখানে বলা হচ্ছে, ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না, তা সত্ত্বেও যেভাবে নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, তাতে আখেরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলীয় প্রধানকে বহিষ্কার করে অন্যান্যদের বার্তা দেওয়া হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সেই প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মেনে নেব। দল চাইলে আমি পদত্যাগও করতে পারি।” কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রধানের কার্যকালের আড়াই বছর সময়সীমা পার না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায় না। ফলে তৃণমূল তাদের প্রধানকে বহিষ্কার করলেও নিয়মকে মান্যতা দিয়ে প্রধান তাঁর পদ থেকে সরেন কি না, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে গোটা পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এরপরেও যদি তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা ত্রান দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি চালাতে থাকে, তাহলে তৃণমূলের প্রবল অস্বস্তি অব্যাহত থাকবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!