এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার “আত্মনির্ভর” বাংলা গড়তে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! বরাদ্দ 500 কোটি – জানুন বিস্তারে

এবার “আত্মনির্ভর” বাংলা গড়তে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! বরাদ্দ 500 কোটি – জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারতের ঘোষণা করেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার পরেই তা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর এবার আত্মনির্ভর হতে শুরু করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। করোনা পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুভব করেছিলেন, শুধু মুখে নয়, এবার কাজেও অনেকটা নির্ভরশীল হতে হবে। তাই এবার বেকার যুবক-যুবতীদের আরও বেশি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে ঘোষণা করা হলো কর্মসাথী প্রকল্প।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 9 সেপ্টেম্বর কর্মসাথী প্রকল্পের গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেমন এই প্রকল্প? কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? জানা গেছে ছোট ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট এবং পরিষেবা প্রদানকারী উদ্যোগ করার জন্য এর মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া হবে। মূলত এর প্রধান মূলধন হিসেবে প্রকল্প মূল্যের 5 থেকে 10% টাকা আবেদনকারীকে জমা করতে হবে। ন্যূনতম শর্তাবলী পূরণ করে আবেদন করলেই মিলবে সাফল্য।

জানা গেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রকল্প মূল্যের 15% অর্থ শুরুতে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেবে। বাকি 75 এবং 80 শতাংশ টাকা রাজ্য সমবায় ব্যাংক কম সুদে যোগান দেবে। একাংশ বলছেন, তিন বছরের মধ্যে ঋণের অংশবিশেষ নিয়ম করে সুদে-আসলে শোধ করে দিলেই বাড়তি ভর্তুকির সুবিধা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে মোট সুদের 50% অর্থ যিনি উদ্যোগকারী আছেন, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কারা কারা এই সুবিধা পাবেন? জানা গেছে, বাংলার গ্রাম এবং শহরের 18 থেকে 50 বছর বয়সী কর্মহীন স্থায়ী বাসিন্দারা এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।  মূলত ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস। তবে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে যে সমস্ত বেকাররা নাম লিখিয়েছিলেন, তারাই এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন। জানা গেছে, গ্রামের ক্ষেত্রে বিডিও এবং পৌরসভা এলাকার ক্ষেত্রে এসডিওর কাছে আবেদনপত্র জমা করতে হবে। আর পুরো প্রকল্পের উপর জেলার এডিএম এবং কলকাতা পৌর কমিশনারকে নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে গোটা পরিস্থিতি এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি কর্মসাথী প্রকল্প চালু করে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন যে, বাংলার সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কতটা জনদরদি মনোভাব পোষণ করে। অর্থাৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যখন আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে বেকার যুবক-যুবতীদের শক্তিশালী করার কথা বলা হচ্ছে, তখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই আত্মনির্ভর বাংলার উপর জোর দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মনির্ভর বাংলার যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কে জয়লাভ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!