এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার দিল্লীতে তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

এবার দিল্লীতে তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট পেগাসাস নিয়ে সংসদে বিরোধীদের হাতে রীতিমতো কোণঠাসা মোদি সরকার। কার্যত বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই বিরোধীরা সরব হয়েছে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে। বিরোধীদের মধ্যে অন্যতম হল অবশ্যই তৃণমূল। কার্যত তৃণমূলের একের পর এক সাংসদকে সাসপেন্ড হতে দেখা যাচ্ছে। আর এই নিয়েই বেড়েছে তরজা। এই সাসপেন্ড নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে তখন তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে লোকসভার মহিলা নিরাপত্তাকর্মী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল সাংসদরা দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক নিগ্রহ করেছেন তাঁকে।

ইতিমধ্যেই লোকসভার মহিলা নিরাপত্তাকর্মী চন্দ্রকলা রাজ্যসভার কাচের দরজা ভাঙা থেকে শুরু করে তাতে আহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে লোকসভার সচিবকে অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন প্রায় পুরো ব্যাপারটি ভিডিও সহকারে ব্যাখ্যা করেছেন টুইটারে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকার পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে নিমরাজি হয়। এরপর 30 জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেহেতু বিক্ষোভকারী সাংসদদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল, তাই তৃণমূলের 6 সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে সংসদ মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর দুপুরে যখন তিন তৃণমূল সাংসদ সংসদ কক্ষে প্রবেশ করতে যান, তখন সেখানকার পুরুষ মার্শাল তৃণমূল সাংসদদের ঢুকতে বাধা দেয়। আর এখানেই গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কার্যত তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাংসদ দোলা সেন এর ব্যাগ রয়ে গিয়েছিল রাজ্যসভার সংসদ কক্ষে। তিনি সেটি আনতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। অথচ অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে সাসপেনশন উঠে যায়। তারপরেই সংসদ কক্ষে প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা।

পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন নিয়মকানুন সহকারে সুর চড়াতেই নরম হয়ে যায় সরকার বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। কার্যত মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা আরেকটি ইসু হাতে এলো তৃণমূলের। তৃণমূল সাংসদরা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এত সহজে হাল ছাড়বেনা। বরং তাঁরা এবার গণতন্ত্র নিয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতা শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা প্রাসঙ্গিক করে তুলছে তৃণমূলকেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত তৃণমূল ও বিজেপি চাপানউতোর কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!