এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার কপালে ক্রমশ গভীর হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ? তৃণমূলের সঙ্গে এবার দূরত্ব বাড়ালেন এই বিধায়ক?

মমতার কপালে ক্রমশ গভীর হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ? তৃণমূলের সঙ্গে এবার দূরত্ব বাড়ালেন এই বিধায়ক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই এবার জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। তবেরাজনীতির কারবারীদের মতে, একুশের বিধানসভার নির্বাচন হয়ে দাঁড়িয়েছে মূলত তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই। আর সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের দিকে যেরকম একের পর এক মহারথী দাঁড়িয়ে পড়েছেন যুদ্ধজয়ের রাস্তা কণ্টকমুক্ত করতে, সেরকমই তৃণমূলের তরফ থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্য নেতারা শুরু করেছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ ধরে থাকার লড়াই। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এই লড়াইতে বাদ সাধছে দলেরই বেশকিছু বেসুরো নেতা। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন বিধায়ক উমাপদ বাউরী।

সূত্রের খবর, চলতি মাসের 19 তারিখ পুরুলিয়া জেলায় রাজনৈতিক জনসভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই জনসভা উপলক্ষে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল একটি প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু ওই প্রস্তুতি বৈঠকেই দেখা যায় গরহাজির রয়েছেন বিধায়ক উমাপদ বাউরী। প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের পরপর দুটি বৈঠকেই অনুপস্থিত রইলেন বিধায়ক উমাপদবাবু। অন্যদিকে উমাপদ বাউরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অসুস্থতার জন্যই তিনি দলের প্রস্তুতি বৈঠকে যেতে পারেননি।

পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা–সংস্কৃতি–তথ্য–ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু জানিয়েছেন, আগামী উনিশে জানুয়ারি পুরুলিয়া শহরে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যাতে লক্ষাধিক জনসমাগম হয়, সেই উদ্দেশ্যে একটি প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়। এই প্রস্তুতি বৈঠকেই অনুপস্থিত থাকার দরুণ উমাপদ বাউরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি বৈঠকে গরহাজির থাকা নিয়েও তিনি কোন কিছু জানাননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পুরুলিয়া শহরেই আগামী 10 জানুয়ারি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী করতে চলেছেন মেগা রোডশো এবং জনসভা। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিধায়ক উমাপদ বাউরী দলের সাথে দূরত্ব বজায় রাখায় অন্য জল্পনার জন্ম দিচ্ছে। অন্যদিকে দলের জেলা মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এদিন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতারা প্রস্তুতি বৈঠকের পাশাপাশি একাধিক মাঠ ঘুরে দেখেন। অবশেষে পুরুলিয়া শহরের জে কে কলেজ মাঠকেই প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সেই অনুযায়ী তৃণমূল পুরুলিয়া শহরে চালাচ্ছে প্রচার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবিরে এই মুহূর্তে মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেসুরো বিধায়ক, মন্ত্রীরা। একের পর এক বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ, নেতারা বেড়িয়ে যাচ্ছেন দল ছেড়ে। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে। যখন রাজনৈতিক যুদ্ধ প্রায় দোরগোড়ায় হাজির হয়েছে, ঠিক সেইসময় এবার পুরুলিয়ার আরেক বিধায়কের দলের সাথে দূরত্ব বাড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের শাসকদলের।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!