এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার পালা দিল্লীর! কিন্তু দিল্লীতে কংগ্রেসের জোট করতে তীব্র অনীহা প্রকাশ

এবার পালা দিল্লীর! কিন্তু দিল্লীতে কংগ্রেসের জোট করতে তীব্র অনীহা প্রকাশ


মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানার পর এবার পালা দিল্লির। সামনে আসছে দিল্লি বিধানসভার ভোট। আর এবার দিল্লি বিধানসভার ভোটকে কেন্দ্র করে লড়াইতে নামতে চলেছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির মসনদ দখল করলেও এককভাবে দিল্লির দখল নিতে পারেনি বিজেপি এতদিন। তাই এবার বিজেপির কাছে দিল্লি দখল একটা প্রেস্টিজ ফাইট হতে চলেছে। অন্যদিকে দিল্লি দখল নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতে শুরু করেছেন।

আর এই আলোচনা পর্বের শুরুতেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে কোনো জোট হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এর আগে ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, কংগ্রেস সহ বিরোধী গোষ্ঠীগুলি জোট বেঁধে বিজেপিকে হারিয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে নির্বাচনে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে জয় পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ চোপড়া জানিয়েছেন, ‘আমরা একাই সরকার গড়তে সক্ষম হব দিল্লিতে। আমাদের এখানে জোট করার কোনও প্রয়োজন নেই।’

যদিও লোকসভা নির্বাচনের সময় দিল্লিতে আপ পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের একটি জোট গড়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল মাত্র। বিজেপিকে আটকাতে দুটি দল  জোটবদ্ধ হওয়ার কথা বললেও, আসন বন্টন নিয়ে পরবর্তীতে মতবিরোধ হওয়ার ফলে এই জোট গঠন আর হয়না। এবং 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল কী হয়েছিল তা দেশবাসী দেখে নিয়েছে। দিল্লীতে ক্ষমতা দখল করে এককভাবে বিজেপি। দিল্লিতে বিরোধী দলের কেউ একটাও আসন পায়না।

এদিন সুভাষ চোপড়া আরো বলেন, বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে চাই যে আমরা দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছি। আমরাই দিল্লিতে পরবর্তী সরকার গঠন করতে চলেছি। আমাদের পক্ষ থেকে কারোর সঙ্গে কোনও প্রকারের জোট গড়ার সম্ভাবনা নেই।’ ইতিমধ্যে দিল্লিতে কংগ্রেস নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ‘হাল্লা বোল’ র‍্যালি বার করছে কংগ্রেস। এই র‍্যালি থেকে বিজেপি এবং আপ দুই দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন দিল্লীর উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যাপারে দিল্লি কংগ্রেস প্রধান আরো বলেছেন, ‘দিল্লির মানুষ বুঝতে পেরেছে যে একমাত্র কংগ্রেসই পারে দিল্লিতে সুষ্ঠু এবং স্থিতিশীল সরকার দিতে। এর আগে ১৫ বছরের কংগ্রেস শাসনে দিল্লিবাসী আমাদের দলের করা উন্নয়নও দেখেছে। এবং সেটাই আমাদের দলের বিশ্বাসযোগ্যতা।’ সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্রমশ রাজনৈতিক মঞ্চের পেছনের সারিতে চলে গেছে।

বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে কংগ্রেস বারংবার প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপিকে হারানো কোন অসম্ভব কার্য নয়। তবে বিজেপিকে হারাতে গিয়ে অন্যান্য সব রাজ্যেই কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করেছে। সম্প্রতি যেমন ঝাড়খন্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে সামনে রেখে জোট করে বিজেপিকে হারিয়েছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। ঠিক একইভাবে বিহারেও আরজেডিকে বিজেপির সামনে রেখে বিজেপি জেডিইউ জোটকে আটকানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে কংগ্রেস। কিন্তু দিল্লির ক্ষেত্রে তাঁরা কাউকেই একাংশ জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।

দেশজুড়ে ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী জনমত দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আর ঠিক সেই সময় দিল্লির বিধানসভা ভোট অন্য কোন বার্তা নিয়ে আসবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে সারাদেশে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তবে এনআরসি আন্দোলন কতটা এই নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে তা যথেষ্ট লক্ষণীয় বিষয়। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস একলা চলো নীতিতে বিশ্বাস রাখলেও তাঁরা দিল্লি বিধানসভার দখল নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক মহল। আপাতত সমস্ত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!