এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোটপ্রচারে ‘ধর্মের’ নামে ঝড় তুলতে গিয়ে কমিশনের রোষানলে দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী

ভোটপ্রচারে ‘ধর্মের’ নামে ঝড় তুলতে গিয়ে কমিশনের রোষানলে দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী

লোকসভা নির্বাচনের আবহে ক্রমশ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে গোটা দেশ জুড়ে – আর সেই রাজনৈতিক পারদ এবার বোধহয় সবথেকে বেশি চড়েছে উত্তরপ্রদেশে। কথাতেই আছে উত্তরপ্রদেশ যার – দিল্লি তার, আর এই আপ্তবাক্যকে সামনে রেখেই ২০১৪ সালের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মারকাটারি ফল করে দিল্লির মসনদে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। একইভাবে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও উত্তরপ্রদেশের গড় অক্ষুন্ন রেখে দিল্লি দখলের স্বপ্ন দেখছে গেরুয়া ব্রিগেড। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সেই স্বপ্ন থমকে দিতে এবার উত্তরপ্রদেশে হাত মিলিয়েছেন মায়াবতী-অখিলেশ যাদব। আর তাই বিজেপি ও মহাজোটের নেতাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রোজই রাজনীতির আঙিনা ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে সেখানে।

কিন্তু সেই রাজনৈতিক পারদ তুলতে গিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের কড়া শাস্তির মুখে উত্তরপ্রদেশের দুই দলের দুই হেভিওয়েট তারকা প্রচারক। নিজেদের রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে ধর্মকে টেনে এনে এবার কমিশনের রোষানলে পড়লেন বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশিকা ছিল – ধর্মের ভিত্তিতে কিছুতেই ভোট চাওয়া যাবে না – কিন্তু, সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখাতেই কমিশন কড়া শাস্তির বিধান দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ রাখতে বড় উদাহরণ সামনে আনল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন শাস্তির মুখে বিজেপির হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ তথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ? যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ – তিনি নাকি নিজের ভোট প্রচারে গিয়ে আমরা-ওরার বিভেদ বোঝাতে গিয়ে ‘আলি’ ও ‘বজরংবলির’ উদাহরণ টেনে এনেছিলেন। যা স্পষ্টভাবেই হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতিতে আঘাত করতে পারে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়েও ‘রাজনীতি’ করছেন। আর তাই এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের ভোটপ্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।

এদিকে বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের পাল্টা দিতে গিয়ে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও যেসব বক্তব্য রেখেছেন, সেখানেও স্পষ্ট ভাবে হিন্দু-মুসলমান প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। এমনকি, তিনি একধাপ এগিয়ে পুরোপুরি ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমান সমাজের কাছে সরাসরি ভোট ভিক্ষা করে বসেছেন। ফলে যোগী আদিত্যনাথের মত মায়াবতীর বক্তব্যেও লঙ্ঘিত হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী বিধি। আর তাই, যোগী আদিত্যনাথের মত মায়াবতীর ভোটপ্রচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন, তবে তা ৪৮ ঘন্টার জন্য।

লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের আস্থা রাখতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বচ্ছ রাখতে চেষ্টার কসুর করছে না নির্বাচন কমিশন। আর তাই দল বা পদ দেখে নয় – আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভাঙার দায়ে দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদকে কড়া শাস্তি দিতে হাত কাঁপে নি কমিশনের। কিন্তু, অতীত অভিজ্ঞতা বলে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে সবসময়েই ‘ধর্ম’ একটা বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই বোধহয় রাজনীতিবিদরা মরিয়া হয়ে আবারো সেই ‘ধর্মের তাস’ খেলতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু, তাতে কি আদৌ কোনো লাভ হবে? উত্তরের জন্য আগামী ২৩ শে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!