এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের আদালতে মুখ পুড়লো বিজেপির, তীব্র উচ্ছাস শাসক শিবিরে

ফের আদালতে মুখ পুড়লো বিজেপির, তীব্র উচ্ছাস শাসক শিবিরে


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আদালতে ফের মুখ পুড়লো বিজেপির। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এরপর আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। শেষ পর্যন্ত আদালতের ডিভিশন বেঞ্চেও বিজেপির এই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২৩ সে ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার মতো পরিস্থিতি নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব সহকারে নির্বাচন পরিচালনা করবে। নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ভাবে সাহায্য করবে রাজ্য প্রশাসন। কোথাও যদি কোন ঘটনা ঘটে ,তবে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের ওপর দায়িত্বভার পড়বে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর আদালতে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনকে আদালত প্রশ্ন করে, সম্প্রতি রাজ্যের অশান্তির ঘটনায় ভোটারদের মনোবল বৃদ্ধি করতে কি পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন? এলাকায় কি রুটমার্চ করা হয়েছে? ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা যেখানে বেশি সেখানে পুলিশের সংখ্যা কেন কম রাখা হয়েছে? আদালতের এই প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।

এরপর রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানো যাবে না, তা মোটেই নয়। এরপর নির্বাচন কমিশনের কাছে বিচারপতির জানতে চেয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কমিশন কি তাতে সম্মতি দেবে? এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। প্রশ্ন ওঠে, প্রয়োজন মনে করলে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী করবে কমিশন?

এরপর কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, একটি নাম্বার দেয়া হবে প্রয়োজন মনে করলে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারবে কমিশন। কমিশন ইচ্ছা প্রকাশ করলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। যেভাবে কমিশন নির্দেশ দেবে, সেভাবেই কাজ করবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র কোন হস্তক্ষেপ করবে না। এভাবে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চেও মুখ পুড়লো বিজেপির। পুরভোটের মুহূর্তে আদালতের এই রায় গেরুয়া শিবিরের কাছে একটি বড় রকম ধাক্কা বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি। আদালতের এই রায় উচ্ছসিত করেছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!