প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বাংলায়। পেট্রোল, ডিজেল থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই পরিস্থিতিতে অভিনব প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি থেকে নবান্ন পর্যন্ত ইলেকট্রিক স্কুটি চালিয়ে যাতায়াত করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। আর তারপরই রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়ে 400 টাকা না করলে তিনি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নীরব প্রতিবাদ করে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রান্নার গ্যাসের দাম 400 টাকা করতে হবে। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। কৃষকরা রাস্তায় বসে পড়েছেন। এবার সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামবে। যতই এজেন্সি লাগান, মোদীবাবু কিছুই করতে পারবেন না।” অর্থাৎ আগামী দিনে এই পেট্রোপন্য সহ রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তার দল যে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল।

একাংশ বলছেন, বিজেপি ক্রমাগত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। হাতে আর কিছুদিন। তারপরই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। এবার তৃনমূল এবং বিজেপির মধ্যে জোরদার লড়াই হবে বলেই মনে করছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়ে কেন্দ্রকে বড়সড় হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি যখন তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, তখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ঘরে যে বিজেপি সরকারের মূল্যবৃদ্ধি নীতির জন্য আগুন জ্বলছে, তা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী। নির্বাচনের আগে এই কথা বলে তিনি বিজেপির অস্বস্তিকে দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিলেন।

আগামী দিনে পশ্চিমবাংলার বিধানসভার নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর এই মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু নিয়ে যে বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিগুণ হবে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেভাবে গ্যাসের দাম 400 টাকা না করলে তিনি বড় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের বিরোধীদল ভারতীয় জনতা পার্টি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।