মমতার ‘ম্যাজিক’ দিয়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিরতরে থামাতে বড়সড় পদক্ষেপ হেভিওয়েট মন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনটি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর কাছে প্রেস্টিজিয়াস ফাইট হয়ে উঠেছে। কারণ রাজ্যের শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল। অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একাধিকবার তিনি নির্দেশ দিয়েছেনএ বিষয়ে। তৃণমূল দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকেও বারবার ঐক্যবদ্ধতার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এত করেও রোখা যাচ্ছে না দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে। তাই এবার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। ইতিপূর্বে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল দলে ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দলের খবর এসেছিল। নতুন কমিটি গঠনের পর সাংগঠনিক পদ থেকে নিষ্কৃতি নিলেন জেলার জনৈক তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর দলীয় কোন্দলের খবর এলো হুগলি থেকে। ডানকুনিতে তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খোন্দকারের ডাকা সম্মেলনে উপস্থিত হলেন না ডানকুনি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি ও সেইসঙ্গে ডানকুনি পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। আবার, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের এক কর্মী সম্মেলনে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না তৃণমূল দলের বেশ কিছু করে খাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই করে খাওয়া নেতাদের ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছিলেন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূল দলে বারবার এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘটে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আলিপুরদুয়ার জেলাতেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর খবর এসেছে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে জেলার নেতা কর্মীদের প্রতি রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের স্পষ্ট নির্দেশ, দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সকলকে মেনে চলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতে হবে দলের সকলকে। গত বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহরের ভাঙাপুল এলাকায় আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক কমিটির একটি পার্টি অফিসের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। পরে তিনি কালচিনি গিয়েছিলেন। কালচিনিতে গিয়ে তিনি সেখানকার রবীন্দ্র-ভানু-বীরসা ভবনে এক বিশেষ সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান করে কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগানের শ্রমিকদের চাল বিতরণ করেছিলেন। গতকালের এই সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা ও বেশকিছু আধিকারিক। গতকাল এই দুই চা বাগানের শ্রমিকদের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল তুলে দেওয়া হল। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক দলীয় কর্মীদের উদেশ্যে জানালেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে। তাঁর নির্দেশের মধ্যে বড় বা ছোট হওয়ার বিষয় কিছু নেই। দলের সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে।” প্রসঙ্গত শাসকদল তৃণমূলের অন্দর থেকে বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে যেখানে বারবার দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বতে দল দুর্বল হয়ে পড়ছে নানা স্থানে। ফলে বাড়ছে বিপদ। আপনার মতামত জানান -