উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম গ্রন্থন-কে নিয়ে জোর চাপানউতোর, সরগরম রাজনীতি রাজ্য June 12, 2018 জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের কলাবিভাগের ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্তের উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের ভিতর প্রথম হওয়ায় শিলিগুড়ি পুরসভার বামেদের তরফের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য তাকে পুরসভার ‘ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর’ ঘোষণা করলেন। এদিন তিনি গ্রন্থনের হাকিমপুরের বাসভবনে শুভেচ্ছা বার্তা দিতে হাজির হন এক কাউন্সিলরের সাথে। সেখানে রাজ্যের ভিতর প্রথম হওয়া যেমন তাকে অভিনন্দন জানালেন তেমনই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রচারে অংশগ্রহন করতেও অনুরোধ করেন। এছাড়াও তাকে শিলিগুড়ি পুরসভার ‘ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর’ অর্থাৎ শুভেচ্ছা দূত হবার প্রস্তাবও দিয়ে এসেছেন। এ প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করেছেন গ্রন্থন। এর আগে জাতীয় ক্রিকেটার তথা শিলিগুড়ির বাসিন্দা ঋদ্ধিমান সাহাকে শুভেচ্ছা দূত ছিলেন পুরসভার,এটাও তিনি জানান। ‘স্বচ্ছ আমি,স্বচ্ছ তুমি-স্বচ্ছ শিলিগুড়ি’ র শ্লোগান তুলে ওই ক্রিকেকারের ছবি, হোডিং শহরে এর সর্বত্র ঝোলানো হয়েছিলো। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে তবে মেয়রের এই উদ্যোগের তীব্র সমালোচনা করলেন এলাকার তৃণমূল নেতা গৌতম বাবু তাঁর কলেজপাড়ার বাড়িতে বসে। জানালেন যে শিলিগুড়ি শহরটাকে এঁরা জঞ্জাল আর বিজ্ঞাপনের স্তূপে পরিনত করেছে। পুরসভার অবস্থা বেহাল আর ওদিকে মেয়ের শুভেচ্ছা দূত বানিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আর কটা শুভচ্ছা দূত বানাবেন? এই বলে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তিনি মেয়রের উদ্দেশ্যে। এর আগে একসময় সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে শহরের নানা কথা বলে বেড়াতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ককে তিনি নিজের ভাইপো বলে পরিচয় দিতেন। বিদেশে থেকেও নাকি সৌরভ তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতেন,শহরের খোঁজ নিতেন। তাঁর সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তিনি প্রচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতেন। এসবের পর তিনি আরো গর্জে উঠে বললেন, মেয়র যদি এসবে ফোকাস না করে পুরসভা এলাকার উন্নয়ন আর পরিচ্ছন্নতায় মনযোগ দিতেন তবে শহরবাসীর অনেক উপকার হতো। আসলে নাকি কৃতী বা খেলোয়ারদের সবসময়ই মেয়র তাঁর পাশে রাখতে চান। আগেও তাই করেছেন। এবার উন্নয়নের পরিবর্তে ৪৭টি ওয়ার্ড পিছু ৪৭ টি শুভেচ্ছা দূত নিয়েই খুশি থাকতে হবে এলাকাবাসীর। এমনটা বলে ব্যঙ্গ করলেন তিনি মেয়রকে। গৌতমবাবুর এইসব অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন মেয়র অশোকবাবুও। তৃণমূল নেতার অভিযোগ যে তাঁর কাছে গুরুত্বহীন এমনটাই জানান তিনি। এছাড়া আরো কটাক্ষের সুর চড়া করে বলেন যে তৃণমূল নেতার খারাপ সময় চলছে এখন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফের তিনজন মন্ত্রীপদ হারিয়েছেন, এরপর কার পালা কেউ জানেননা। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণেই গৌতমবাবু নাকি ভুলভাল কথাবার্তা বলছেন। দফতরের কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও নাকি তাকে কটু কথা শুনিয়েছেন। এরপর মেয়র আরো জানান তাঁর বয়স হয়ে যাওয়াটাকেই টার্গেট করে গৌতমবাবু ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। কারণ বর্তমানে মেয়র আর আগেও মতো প্রচারকার্যে অংশগ্রহন করতে পারেননা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। গৌতমবাবু যদি এভাবেই সমালোচনা করে মেয়র পদটি অধিকার করতে পারে তাহলে তাঁর জন্য একরকম খুশিই হবেন বর্তমান শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বিরোধী নেতাদের একটি সাধারণ ঘটনাকে রাজনীতির রং দিয়ে অভিযোগ এবং পাল্টা কটাক্ষের জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির রাজনৈতিকমহলে। আপনার মতামত জানান -