এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনায় মানুষের দুর্দিনে দেখা যাচ্ছে না হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ককে! অসন্তোষ চরমে!

করোনায় মানুষের দুর্দিনে দেখা যাচ্ছে না হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ককে! অসন্তোষ চরমে!

করোণা মহামারী মানুষের অভাবকে সামনে এনে দিয়েছে। এই মহামারীকে আটকাতে রাজ্য এবং দেশ যখন লকডাউন, ঠিক তখনই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের অভাব চোখের সামনে ফুটে উঠছে। শাসক থেকে বিরোধী, জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ নেতা, প্রায় সকলেই চেষ্টা করছেন, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। নিজের নিজের সাধ্য অনুযায়ী চাল, ডাল, আলু দিয়ে সাধারণ মানুষের দিন যাতে ভালোভাবে চলে যায়, তার জন্য ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে সকলকেই।

কিন্তু এই মহামারীর সময় কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। এই প্রশ্নটা তুলছেন তৃণমূলের অনেক নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে বিরোধী এবং গ্রামবাসীরা। যদিও বা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য মানুষের পাশে আছেন বলেই দাবি করেছেন। তবে এলাকাবাসীরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত তার টিকিটিও পাওয়া যায়নি। আর সাধারন মানুষের এই বক্তব্য নিয়েই এখন তৃণমূল বিধায়কের ভূমিকার ব্যাপারে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, ভোটের সময় নেতাদের প্রতিনিয়ত দেখা যায়। ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু যখন মহামারীর মতো আকাল চলছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের বিধায়ক অনুপস্থিতিতে মানুষের মনে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, বিপদের দিনে যারা থাকবে, তারাই প্রকৃত বন্ধু। সেদিক থেকে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের অভাব বোধ করে এখন অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে ভবিষ্যতে এই এলাকায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে গোবড়াছড়া-নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও দিনহাটা 2 ব্লকের মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মমতাজ বেগম বলেন, “বিধায়ক একদিনের জন্যও নয়ারহাট বিধানসভায় গ্রামীণ এলাকার দলীয় কর্মী, দুঃস্থ পরিবারগুলোর খোঁজ নিতে আসেননি। অসময়ে মানুষ তাকে পাশে পাবেন বলে গ্রামের গরিব মানুষগুলো তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে বিধায়ক করেছেন। খাদ্য সামগ্রী বিলি করা তো দূরের কথা, প্রধানকে একটা ফোন পর্যন্ত করেননি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজের এলাকায় দুস্থ মানুষদের জন্য 80 কুইন্টাল চাল এবং 1500 সাবান বিলি করেছি। প্রতিদিন বাড়িতে আসা অসহায় মানুষগুলোকে খাদ্য সামগ্রী বিলি করছি।” আর তৃণমূলের প্রধান তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করায়, অস্বস্তিতে পড়েছেন সেই উদয়ন গুহ। তবে শুধু তৃণমূল নয়, ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকেও এই ব্যপারে সরব হতে দেখা গেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, “বিধায়ক এই বিপদের দিনেও রাজনীতি করছেন। পৌরসভা এলাকার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন ভালো কথা। তার বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতেও খাদ্য সামগ্রী বিলি করা উচিত। পুরভোটের কথা ভেবেই গ্রামের দুস্থ মানুষের কথা ভুলে শহরে খাদ্য সামগ্রী বিলি করে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন। মানুষ সব বোঝেন। সময়মত উত্তর দেবেন।”

কেন তিনি গ্রামের মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “প্রতিনিয়ত দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে খাদ্য সামগ্রী বিলি করছি। বামনহাট, চৌধুরীরহাট, বড় শাকদল, ভিলেজ 1 এ চাল, আলু বিলি করা হয়েছে। নাজিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হবে। যারা অভিযোগ করছেন, তারাই মানুষের পাশে নেই। ঘরে বসে থেকে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।”

তবে বিধায়ক এই কথা বললেও, তৃণমূলের অনেকেই যেভাবে তার সম্পর্কে অভিযোগ তুলছেন, তাতে উদয়নবাবু নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে মহামারীর সময় সাহায্য করার দিক থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেলেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অনেকেই বলছেন, করোনার এই কঠিন সময়ে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর তাই, যাঁরা ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা মানুষের পাশে থেকে জনসেবার কথা বলেন – সেই সব রাজনীতিবিদের ভূমিকা বিবেচনা করেই, আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!