এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিজেদের অপদার্থতা ঢাকার জন্যই রাজ্যের ঘাড়ে দায়! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত তৃণমূল

নিজেদের অপদার্থতা ঢাকার জন্যই রাজ্যের ঘাড়ে দায়! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত তৃণমূল

করোনা আবহে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে এক হয়ে লড়াই করবে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ততই যেন রাজনৈতিক উষ্ণতার পারদ চড়ছে। বিশেষ করে বঙ্গ রাজনীতির দুই যুযুধান পক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে ব্যস্ত। বিজেপির স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস করোনা নিয়ে প্রকৃত তথ্য গোপন করে যাচ্ছে।

আর এর পরেই কেন্দ্রের এক বিশেষ দল বাংলায় আসে পর্যবেক্ষনে। এরপর অনেক রাজনৈতিক চাপানউতোরের পর, কার্যত কেন্দ্রের তথ্যের কাছে নতিস্বীকার করে রাজ্য। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ‘ভুল’ শুধরে নিয়ে করোনা নিয়ে যে তথ্য দেন, তা কার্যত কেন্দ্রের এতদিনকার দাবিকেই মান্যতা দেয়। কিন্তু, এরপরেও রাজনৈতিক যুদ্ধ জারি রেখেছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। এর আগে হেভিওয়েট দুই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশে যখন এই পরিস্থিতি তখন করোনা নিয়ে রাজনীতি করছেন রাজ্যপাল ও কেন্দ্র। গুজরাট নিয়ে কেন কোনও কথা বলছেন না রাজ্যপাল? ত্রুটিপূর্ণ কিট নিয়ে কেন সরব হলেন না রাজ্যপাল? নিজেদের অপদার্থটা ঢাকার জন্যই রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপানো হচ্ছে। করোনা নিয়ে সতর্ক হয়নি কেন্দ্র, বরং মধ্যপ্রদেশ দখলে ব্যস্ত ছিলেন মোদী – ট্রাম্প নিয়ে হই হই করছিলেন। WHO-র কথায় কান দেননি। বাংলা তালিকায় ১৬ তম আসনে রয়েছে। মমতাকে কালিমালিপ্ত করতেই এসব করা হচ্ছে।

ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁর বক্তব্য, একদিকে লকডাউন, অন্যদিকে দোকান খুলতে বলছেন। একদিকে বলছেন টেস্ট কর, অন্যদিকে ভুল কিট। কে দায় নেবে? সমন্বয় তো দূর, ওরা আমাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে এসেছিল। অপূর্ব চন্দ্র বাংলাকে খোঁচা না দিলে ওনার প্রোমোশন হতো না। রেড জোন, গ্রিন জোনের ক্রাইটেরিয়া বদলাচ্ছে রোজ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার কিট চাইলে, নামমাত্র দেওয়া হল, তাও ত্রুটিপূর্ণ কিট। এরপরেও বাংলায় টেস্টিং রেট কত বেশি! ভারতের থেকে বাংলায় টেস্ট বেশি।

রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হরিয়ানায় যখন প্রথম কেস হল, আপনারা ঘোড়া কেনাবেচায় ব্যস্ত ছিলেন। আজকে রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকুন। অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, তথ্য লুকানোর প্রশ্নই নেই। চ্যালেঞ্জ করছি, আইসিএমআর দেখাক আমাদের ত্রুটি। বাংলাকে অপমান করতেই এসব বলা হচ্ছে। এমন ভাবে বলা হচ্ছে, আমরা যেন করোনা রেট বাড়িয়ে দিচ্ছি । অথচ মমতাই প্রথম রাস্তায় ছিলেন। ফ্লাইট বন্ধ করা হয়নি, ফল্টি কিট দেওয়া হয়েছে। বাংলার আগে কর্নাটকে হয়েছে। গুজরাতে হয়েছে। গুজরাতকে কেন আড়াল করা হচ্ছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!