এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আইএসএফকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস, মান্নান ও অধীরের ভিন্নপথ ঘিরে জল্পনা!

আইএসএফকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস, মান্নান ও অধীরের ভিন্নপথ ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রথম থেকেই আইএসএফের সঙ্গে খুব একটা জোট করার পক্ষে ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট গঠন করে বিরোধী ঐক্যে শান দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে নির্বাচনে খুব একটা ভালো ফলাফল হয়নি। এবারে একটিও প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস। আর তারপর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গলায় ক্ষোভ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।

আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের যে কোনো জোট নেই, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে নিজেদের তিক্ত সম্পর্কের অধীরবাবু নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেও, কার্যত তার উল্টো পথেই পা বাড়াতে দেখা গেল রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা আবদুল মান্নানকে।

যেখানে সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যকে মান্যতা না দিয়ে আইএসএফের নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গেল আব্দুল মান্নানকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি অধীর রঞ্জন চৌধুরী অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেও, কেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করলেন, এখন তা নিয়েই কংগ্রেসের অন্দরমহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান সরাসরি চলে যান ফুরফুরা শরীফে। যেখানে হেভিওয়েট এই কংগ্রেস নেতাকে দীর্ঘক্ষণ আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায়‌। আর তার ফলেই জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এদিন আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করার পর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, “আমার মত সিনিয়র নেতা এখন বাংলা কংগ্রেসে নেই। দেবপ্রসাদ রায় রয়েছেন। কিন্তু একটানা দল করার ব্যাপারে আমি সিনিয়ার। আমি চলি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর নির্দেশে। এখানে কে কি বলছেন, তা বলতে পারব না। ভোটের আগে যতক্ষণ না দিল্লি সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, আমি আব্বাসের সঙ্গে কথা বলতে আসিনি। অধীরবাবু এসেছিলেন সেইসময়। দিল্লি বলার পর আমি এসেছি।”

অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট রাখতে নারাজ বলে মন্তব্য করলেও, তার কার্যত বিপক্ষেই হাঁটতে দেখা গেল বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে। যার ফলে প্রদেশ কংগ্রেস দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই কংগ্রেসের শোচনীয় দশা। তার মধ্যে দুই নেতার দুই ধরনের মন্তব্য এখন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে বাংলা নিয়ে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আব্দুল মান্নানের সম্পর্ক কোনোকালেই ভালো নয়। অতীতেও বিভিন্ন ঘটনায় তাদের মতভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবার আইএএসএফকে নিয়েও দুই নেতার দুই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা‌। তবে অধীর চৌধুরী যখন এক কথা বলছেন, তখন কার্যত তার সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গিয়ে আব্দুল মান্নানের এইভাবে আব্বাস সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাত এবং বৈঠক, গোটা পরিস্থিতিকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!