আজীবন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়া সরযূ রাইকে হালকাভাবে নেওয়াতেই কি ঝাড়খণ্ডের বিজেপির ভরাডুবি? জাতীয় December 24, 2019 রঘুবর দাসের দুর্নীতির জন্যই কি এবার ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতা হারাতে হল ভারতীয় জনতা পার্টিকে! নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর এখন এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। জানা গেছে, জামশেদপুর আসনের সরযূ রাইয়ের কাছে বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন এতদিন ঝাড়খন্ডে মুখ্যমন্ত্রী থাকা বিজেপির রঘুবর দাস। আর সরযূ রাইয়ের কাছে রঘুবর দাসের পরাজিত হওয়ার ব্যাপারটি দেখে অনেকেই বলছেন যে, বিজেপি সেইভাবে সরযূ রাইকে গুরুত্ব দেয়নি। আর যার ফলেই তাদেরকে এইভাবে ধাক্কা খেতে হল। জানা যায়, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে এই জামশেদপুর আসনটি দাবি করেছিলেন সরযূ রাই। তবে প্রকাশ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন রঘুবর দাস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তার সরব হওয়ার ব্যাপারে ক্ষুব্ধ ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাই তাকে শেষ পর্যন্ত সেখানে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। যার ফলে রীতিমতো বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান সেই সরযূ রাই। যাকে সমর্থন করেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নেতা হেমন্ত সোরেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি বিজেপির রঘুবর দাস সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে ব্যাপক প্রচার চালাতে দেখা যায় সরযূ রাইকে। তিনি বলেন, “রাস্তা থেকে সরকারি আবাসন নির্মাণ। টেন্ডার বা গুনমান পরীক্ষা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব জানলেও কঠোর হাতে দমন করেননি।” আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরযূ রাই সরব হওয়ায় তাকে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। যার ফলে “জায়ান্ট কিলার” সরযূ রাইয়ের কাছে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হল রঘুবর দাসকে। যা নিঃসন্দেহে বিজেপির ভুল সিদ্ধান্তের ফসল বলেই দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। অনেকে বলছেন, দলের ভেতরে যদি কেউ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তাহলে তাকে সন্তুষ্ট করে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু নির্বাচনের সম্মুখে বিজেপি তা না করায়, সরযূ রাই যেভাবে বোমা ফাটিয়েছেন, তাতেই ঝাড়খণ্ডের বিজেপির ক্ষমতা দখল থেকে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। এখন বিজেপি থেকে বেরিয়ে নির্দলের টিকিটের জয়লাভ করলেও, শেষ পর্যন্ত সরযূ রাই নির্দলেই থাকেন, নাকি ক্ষমতা দখল করা জোট শিবিরে যোগ দেন! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -