এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহল থেকেই মিশন-একুশ শুরু কৈলাশ-মুকুল জুটির! ঊনিশের ‘রিপিট টেলিকাস্টের’ আশায় বিজেপি?

জঙ্গলমহল থেকেই মিশন-একুশ শুরু কৈলাশ-মুকুল জুটির! ঊনিশের ‘রিপিট টেলিকাস্টের’ আশায় বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে শুরু হয়েছে সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর লড়াই। অন্যদিকে, বিভিন্ন সভায় যোগ দিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার সারতে উদ্যোগী। সেরকমই আভাস দিল গেরুয়া শিবির এদিন জঙ্গলমহলে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য বাংলার বিধানসভা দখল। বঙ্গ বিজেপির সাথে সাথে কেন্দ্রীয় শিবির থেকেও একই লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এদিন জঙ্গলমহলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এদিন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করে দেন এদিনের সভায়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদ দখল করতে চলেছে আগামী দিনে বিজেপি। আবার একবার মানুষ পরিবর্তন দেখবে।

তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের আপামর মানুষের জন্য এদিন প্রতিশ্রুতি দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের সঙ্গে মাওবাদী যোগ আছে বলে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগকেই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি ছত্রধর মাহাতোকে মাওবাদী নেতা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর সাথেই তিনি অভিযোগ করেছেন, জোরজবরদস্তি মানুষকে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে জঙ্গলমহলে এবং তা হচ্ছে ছত্রধরের হাত দিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর সাথেই জঙ্গলমহল এলাকায় 15 জন বিজেপি নেতা কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এর সাথেই তিনি প্রকৃত সত্য সামনে আসার কথা জোর দিয়ে বলেন। অন্যদিকে কৈলাসের পাশাপাশি মুকুল রায়ও এদিন তৃণমূলকে একহাত নেন এই সভায়। জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য তৃণমূল সরকার কোন উন্নয়ন করেনি বলে তিনি দাবি করেন। এর সাথেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে একযোগে প্রশ্ন তোলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল রায় আবার সক্রিয়ভাবে গেরুয়া রাজনীতিতে ফিরে আসায় বাংলার বিজেপি দল আত্মবিশ্বাসে এই মুহূর্তে টগবগ করে ফুটছে এবং তার প্রকাশ জঙ্গলমহলেই হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল শিবিরকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির, তাতে এবার বিজেপি কতটা সাফল্য অর্জন করে, সেটাই দেখার। তবে আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!